প্রথম স্ত্রী সন্তানের তথ্য গোপন রেখে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে সুমন নামে মেহেরপুর কৃষি ব্যাংকের এক গার্ড ।
এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে সুমন রেজা মেহেরপুর কৃষি ব্যাংক শাখায় গার্ড পদে কর্মরত আছে। সে বছর পাঁচেক আগে সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে মিলা খাতুনের সাথে প্রথম বিয়ে করে, তাদের তিন বছরের এক পুত্র সন্তান আছে। তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে দেনমোহর ছাড়াই তালাক দেয়।
এরপর মুজিবনগর উপজেলার অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে। উভয়ের মতামতে পারিবারিকভাবে সুমন তার প্রথম স্ত্রী সন্তান এর তথ্য গোপন করে ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে কলেজ ছাত্রীর সাথে সুমন দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের দুই মাস পেরুতে না পেরুতেই স্বামী সুমন ও শাশুড়ী সোনাভানু কর্তৃক যৌতুক এর দাবী করে স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে, গৃহবধূ শিরিনা বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে একলাখ টাকা প্রদান করে। টাকা আদায় সম্পন্ন হলে স্বামী সুমন স্ত্রীকে মউক অফিসে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেয়।
প্রতিমাসে বেতনের দশ হাজার টাকা বাড়িতে নেওয়ার সাথে সাথে তার স্বামী সুমন বেতনের টাকা কেড়ে নেয়। এতে স্বামী সুমনের টাকার নেশা মেটেনা, কিছুদিন পর আবার আরো একলাখ টাকা আনতে বলে স্ত্রীকে, শাশুড়ী ও স্বামী সুমন টাকা আনতে না চাইলে তাকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে মাস ছয়েক আগে গৃহবধূ স্বামী ও শাশুড়ীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়ি চলে আসে, স্বামী সুমন সেখানে মাঝে মাঝে যাতায়াত করে তাকে বাবার থেকে আবার যৌতুক না চাওয়ার ও কোন ধরণের নির্যাতন না করার অঙ্গিকার করে স্ত্রীকে তার বাড়ি নিয়ে আসে। মাস পেরুতে না পেরুতেই আবার তাকে সবধরণের নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি সে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
সুমন তাকে দিতে থাকে নানান ধরণের হুমকি, তাই এই গৃহবধূ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন এর মানবাধিকার ও সালিশ ইউনিটে লিখিত অভিযোগ করে আইনগত সহায়তা কামনা করেছেন। যার অভিযোগ নং ৩৮১/২০।
মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক সংস্থার নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম জানান, এ বিষয়ে আমরা উক্ত গৃহবধূ ও তার পিতা মাতার কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনার প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে সত্যতা থাকায় আমরা ভিকটিমকে সব ধরণের আইনী সহায়তা প্রদানে বিবাদী স্বামী সুমন ও শাশুড়ীকে সামাজিক ভাবে বা স্থানীয় সালিশ বিভাগের মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষে নোটিশ প্রদান করলে স্বামী সুমন সালিশ বিভাগে উপস্থিত না হয়ে স্ত্রীকে বিভিন্ন হুমকি সহ খুন, গুম বা অর্থ চুরির মামলার ভয় দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে।