রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। উচ্চ রক্তচাপ হোক কি নিম্ন রক্তচাপ-রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকলে বিপদ হতে পারে। ঠান্ডা আর গরম এই দুই সময়েই সমস্যা হয় বেশি। আচমকা রক্তচাপ বেড়ে গেলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
বর্ষার মৌসুম চললে কি হবে, ভ্যাপসা গরমও আছে। রক্তচাপে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেশার ১২০/৮০ থাকাকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তবে রক্তচাপ যদি এর চেয়ে অনেকটা কম বা বেশি হয়ে যায়, তখনই বিপদের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আচমকা প্রবল উচ্চ রক্তচাপ হৃদ্যন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই গরমে একটু সতর্ক হতে হবেই।
গরম কিভাবে রক্তচাপ প্রভাবিত করে?
অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে পানি কমে যায়। এর ফলে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন হৃদযন্ত্রে চাপ ফেলে। কারণ রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই প্রচুর পানি পান করতেই হয়। পানি পান না করলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে। কদিন আগেই গেছে ঈদুল আজহা। গরুর গোশত বেশি খেলে কিংবা খাবারে বেশি লবণ পড়লে বিপদ বাড়বেই। প্রচণ্ড গরমে ওষুধ অনেক সময় সঠিক কাজ করে না। তাই এই ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া দরকার। কিভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে?
পানি পান করুন
এই গরমের দিনে আচমকা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পানি পান খুব জরুরি। কারণ, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায় দ্রুত। দিনে সাধারণত ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বাইরে বেরুলে সঙ্গে সবসময় এক বোতল পানি রাখবেন। তবে পানি যেন বিশুদ্ধ হয়। নোংরা পানি পান করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
বাইরে কম বের হন
কাজ না থাকলে আর বাইরে বেরিয়ে কি লাভ? যথাসম্ভব বাড়ির ভেতরে থাকার চেষ্টা করুন। বিশেষত দুপুরের দিকে রোক তীব্র হয়। এ সময় বাইরে বের না হওয়াই ভাল। বেরুলেও সঙ্গে ছাতা রাখুন আর চোখে দিন রোদ-চশমা।
খাবারে লবণের ব্যবহারে সংযত হন
খাবারে লবণের ব্যবহার বুঝে করতে হবে। অতিরিক্ত নুন খাওয়া বা খাবারের সঙ্গে আলাদা করে নুন খাওয়ার অভ্যাস এ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। আচমকা উদ্বেগও রক্তচাপের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত উদ্বেগ আচমকা রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই উদ্বেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
শরীরচর্চা করলেও সাবধানে
শরীর ভালো রাখতে শরীরচর্চা জরুরি হলেও প্রচণ্ড গরমে অতিরিক্ত ব্যায়াম ঠিক নয়। যতটা শরীর নিতে পারবে, ততটাই করা দরকার। বিশেষত, রক্ত-চাপজনিত সমস্যা থাকলে তো বটেই। শীততাপনিয়ন্ত্রিত জিমে ব্যায়াম করলে কুলডাউনে সময় নিন। তাড়াহুড়োয় থাকবেন না। তাতে আরও ক্ষতি বেশি হবে।
সূত্র: ইত্তেফাক