দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে লিখতে গেলে শেষ হয়ে যাবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্টা। রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দুই দেশ এবার মুখোমুখি ফুটবলের মাঠে। কাতার বিশ্বকাপে নক-আউটে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ১ টায় মুখোমুখি হচ্ছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র।
আল-থুমাম স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ফুটবলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হওয়ার আগে উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই দলের মধ্যেই। দুই মহাদেশের দুই দলের লড়াইয়ে যে জিতবে সেই চলে যাবে নক-আউট রাউন্ডে। হেরে যাওয়া দলের বিশ্বকাপ যাত্র শেষ হয়ে যাবে প্রথম রাউন্ডেই। এমন ম্যাচে উত্তেজনা বিরাজ করবে সেটিই তো স্বাভাবিক, তার ওপর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেখানে চরম দুই দেশের মধ্যে।
তবে ফুটবলীয় লড়াইয়ের আগে রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়া মাথা ঘামাতে চাননা যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বারহাল্টার। ইরানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ইরানের বিপক্ষে ‘মাস্টউইন’ ম্যাচে কোন রাজনীতি থাকবেনা।
আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে আজকের ইরানের বিপক্ষে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজকের ম্যাচে জয়ী দল পেয়ে যাবে শেষ ষোলোর টিকিট। ভু-রাজনীতিতে চির বৈরি দল দুটির মধ্যে এই ম্যাচটি হয়ে উঠেছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি। ওই ম্যাচে ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল ইরান। পরে ম্যাচটিকে ‘সব ফুটবলের মা’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।
আজকের ম্যাচ নিয়ে বারহাল্টার বলেন, ‘ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকলেও সেটি মঙ্গলবারের ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এর আগে আমি সুইডেনের কোচের দায়িত্ব পালন করেছি এবং ভিন্ন তিনটি দেশে খেলেছি। তবে ফুটবলের মূল মন্ত্র হচ্ছে আপনি খেলাধুলার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিলিত হতে পারছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোচ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, যেহেতু দুই দলই পরের পর্বে খেলতে চায়, তাই ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ কিছুটা উর্দ্ধমুখী। এখানে রাজনীতি বা দুই দেশের বৈরি সম্পর্ক মুখ্য নয়। আমরা ফুটবল খেলোয়াড় এবং প্রতিযোগিতায় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি কারণ তারাও (ইরান) এমনটাই করতে যাচ্ছে।’