রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা করতে হলে সময়মতো সম্মেলনের কোন বিকল্প নেই। একই কমিটি দীর্ঘদিন ধরে থাকলে সেই কমিটির নেতৃত্ব বজায় থাকে না। দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্যোম নষ্ট হয়। তেমনই হয়েছে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ কমিটির। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ওই ইউনিটের সম্মেলন না হওয়ায় পৌর কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে। কমিটির অনেক সদস্য মৃতবরণও করেছেন।
নতুনরা কমিটিতে আসবেন সে সুযোগও তৈরি হয়নি। একই অবস্থা বিরাজ করছে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। ওই কমিটিরও সম্মেলন হয়নি দীর্ঘদিন। এছাড়া মুজিবনগর উপজেলা কমিটি, গাংনী পৌর কমিটি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে অনেক আগে।
এর আগে কয়েকবার এসব কমিটির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও অজানা কারণে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এক নেতা আরেক নেতার উপর দায় চাপিয়ে গেছেন এমন অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। একটি পক্ষ সম্মেলন চাইলেও অপরপক্ষ সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে দলের মধ্যে। সর্বশেষ মাস দুয়েক আগেও সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেও সম্মেলন পিছিয়ে যায়।
অবশেষে গত সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নতুন করে চারটি ইউনিটের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ১৯ মার্চ মেহেরপুর পৌর শাখা, ২০ মার্চ সদর উপজেলা শাখা, ২১ মার্চ গাংনী উপজেলা শাখা এবং ২২ মার্চ মুজিবনগর উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন করে এই ইউনিটগুলোর সম্মেলনের দিন ঘোষণা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারও চাঞ্চল্যতা শুরু হয়েছে। কমিটিতে ঠাঁয় পাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা তদবির করছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। নতুনভাবে প্রতিটি ইউনিটে কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। সুষ্ঠ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমেই গণতন্ত্র বিকাশের একমাত্র পথ। সম্মেলন এবং কমিটি গঠনের ধারাটিও যাতে সুষ্ঠ রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে দিয়ে হয়, সচেতন মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মীরা এটাই চায়।
তাই পূর্বের মত যেন আবারও সম্মেলন পিছিয়ে না যায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের কাছে সকল সচেতন নাগরিক ও রাজনীতিপ্রেমী মানুষের প্রত্যাশা। দীর্ঘদিন পরে হলেও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এ উদ্যোগ সফল হোক, সফল হোক ৪টি ইউনিটের সম্মেলন। নতুন নেতৃত্বে বিকশিত হয়ে রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে দলীয় কর্মকাণ্ড গতিশীল হোক।