কখনো কি ভেবে দেখেছেন, দিনের চেয়ে রাতে কেন খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়? বিশেষ করে গভীর রাতে স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকে প্রবল। রাত যত গভীর হয়, পেটপুরে খাওয়ার পরও ততই শেষ রাতে খাওয়ার জন্য মন কেমন করে। একেই বলে ‘লেট নাইট ক্রেভিং’। যদিও এর কারণ বের করা খুব কঠিন নয়। খিদের চেয়ে মানসিক তৃপ্তিই এর প্রধান কারণ। কিন্তু রাতের খাবারে ওজন বাড়ে। কেননা যেটুকুই খাওয়া হয়, সেটুকুই জমে যায়। সেই ক্যালরিটা তো আর খরচ হয় না। বিশেষ করে গভীর রাতের খাবারে তো তরতর করে ওজন বাড়বে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ‘লেট নাইট ক্রেভিং’ মেটানোর জন্য আছে আলাদা ধরনের কিছু খাবার। যাতে ওজন বাড়বে না, আবার পেটেও মিলবে সান্ত্বনা।
সিনেমা দেখতে দেখতে শেষ রাতে হঠাৎ কুড়মুড়ে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে কী করেন? নিশ্চয়ই চিপসের প্যাকেট নিয়ে বসে যান। ভুলটা করছেন এখানেই। কারণ, প্যাকেটের চিপসে থাকে প্রচুর লবণ। আর এতে ওজন বাড়ে দ্রুত। তাহলে উপায়? একেবারে লবণ ছাড়া বেক করা চিপস হতে পারে লেট নাইট ক্রেভিংয়ের উপযুক্ত দাওয়াই।
শেষ রাতের খাবার হিসেবে আইসক্রিমের বিশেষ জনপ্রিয়তা আছে। শুধু ‘লেট নাইট ক্রেভিংয়ের ক্ষেত্রেই নয়, বরং মন খারাপ বা ভালো থাকলেও আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে। তবে আপনি কি ‘নাইসক্রিমে’র নাম শুনেছেন? এটি আপনাকে আইসক্রিমের স্বাদই দেবে। কিন্তু ওজন বাড়াবে না। বরফ করা স্ট্রবেরি, ভ্যানিলা নির্যাস, সামান্য প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং ফ্যাট ছাড়া দুধ দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যাবে ‘নাইসক্রিম’।
পপকর্ন পছন্দ হলেও ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই থাকেন দূরে। কিন্তু ভিন্ন উপায়ে তেল, মসলা ছাড়াও পপকর্ন তৈরি করা যায়। ‘লো কার্ব’ পপকর্নও আছে বাজারে। এ ধরনের পপকর্ন আপনি চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারেন। আবার কিনেও খেতে পারেন।
ফল শুকিয়ে নিলে তাতে চিনির পরিমাণ অনেক কমে যায়। আর এটি নাইট ক্রেভিং খাবার হিসেবেও মজাদার। পাতলা করে কাটা আপেল, বেরি, কিশমিশ বা পিচ ফলের টুকরা মজাদার ড্রাই ফ্রুট। বাজারে কৌটাভর্তি নানান পদের শুকনা ফলের মিশ্রণ কিনতে পাওয়া যায়। অল্প খেলেই পেট খুশি থাকবে। আবার ক্যালরিও বাড়বে না বিশেষ।
শুকনো ফল খেতে ‘পানসে’ লাগলে ওপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন ডার্ক চকলেট। আর কিছু বাদাম। আর রাতে খাওয়ার ফল হিসেবে বেছে নিতে পারেন আপেল। কথায় বলে ‘অ্যান আপেল আ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে।’ এর মানে দাঁড়াল, প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে আপনার আর চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হবে না। সেই আপেলটি আপনি মধ্যরাতে খেতে পারেন। এর আরেকটা সুবিধা হলো, আপেল খাওয়ার পর আর কিছু না খেলে রাতে ব্রাশ করার প্রয়োজন কমে যায়।
স্যান্ডউইচ দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। কেননা, সাধারণত আমরা যা কিছু দিয়ে স্যান্ডউইচ বানাই, সেগুলো উচ্চমাত্রার ক্যালরি, প্রোটিন ও ফ্যাট–সমৃদ্ধ। তাই শেষ রাতে খেতে হবে এমন স্যান্ডউইচ যা ‘খাই খাই’ ভাবটাও কমাবে, আবার ওজনও রাখবে ঠিক জায়গায়। সেজন্য কলার সঙ্গে আলমন্ড বাটার মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা পাউরুটির টুকরার ওপর মাখিয়ে দুটি শসা আর লেটুস পাতা দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্যান্ডউইচ।