কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের লাশ দাফনের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গোরস্থানের পরিবর্তে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল হাসান আজিজুল হককে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কবরস্থান বা গণকবরে দাফন করা হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আজিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কবরের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাদ জোহর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তাকে দাফন করা হবে। জানাজার আগে শোক জ্ঞাপনের জন্য লাশ রাবি শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হবে।
বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগে সোমবার রাত সোয়া ৯টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা বিহাসে নিজের বাড়িতে মারা যান হাসান আজিজুল হক।
তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। স্ত্রী শামসুন্নাহার কয়েক বছর আগে প্রয়াত হন।
কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। বাথরুমে পড়ে কোমরে ব্যথা পাওয়ার পর বছরের মাঝামাঝি থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যা দেখা দিলে গত আগস্ট মাসে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৯ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার রাতে না ফেরার দেশে চলে যান এই কথাসাহিত্যিক।