নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর হেফাজতের সহিংসতা মামলায় আরো এক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ওই কাউন্সিলরের নাম ফারুক আহমেদ তপন। তিনি সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক কাউন্সিলর গরিবে নেওয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার তবিদুর বলেন, হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় হওয়া মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রাতে পৌরভবনাথপুরে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর অনুসারীরা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন সোনারগাঁ থানার এসআই ইয়াউর।
ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ হেফাজত ইসলামের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এ ছাড়া থানার এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় হেফাজত ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অপর মামলাটি করেন হেফাজত ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত স্থানীয় এসএ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।