রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। ১২-১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার কারণে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। সুগার বেড়ে যেতে পারে।
রোজায় সুগার বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পথ্য ও পুষ্টিবিদ জাহিদা সুলতানা।
* খেজুর বেশি খেলে সুগার বাড়ে।
* অনেকেই ওরস্যালাইন/ টেস্টি স্যালাইন খান, ভাবেন এটা তো নোনতা, কিন্তু এতে গ্লুকোজ আছে।
* ইফতারের সময় সামান্য চিনি দিয়ে শরবত খান। ভাববেন না যেন সারাদিন না খেয়ে ছিলাম তাই সামান্য চিনিতে কোনো ক্ষতি হবে না।
* অল্প অল্প করে ২-৩ রকম মিষ্টি ফল খান। তরমুজ, আপেল, পেয়ারা, আনারস, লিচু, আম যা ব্লাড সুগার বৃদ্ধিতে সহায়ক।
* একসঙ্গে ইফতারে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলে গ্লুকোজ লেভেল বাড়ে।
* রাতের খাবার বাদ দিয়ে ইফতারে বেশি খেলে এর প্রভাব পরবর্তী দিনের রোজায় পড়ে।
* অনেকেই সেহরির সময় দুধ, ভাত ও কলা মিশিয়ে খান, এটা ব্লাড সুগার বাড়তে সাহায্য করে।
যেসব ভুল এড়িয়ে যেভাবে রোজা সুস্থতার সঙ্গে পালন করা যায়-
* ইসবগুল/তোকমার শরবত কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন। চিনি ছাড়া টক ফলের জুস বাসায় তৈরি করতে পারেন। মিষ্টি ফলের জুস যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে (খাবার পর ব্লাড সুগার ৮ মিলিমোল/লিটার) তারা খেতে পারেন।
* নবিজির সুন্নত পালনের জন্য একটি খেজুর খান, এর বেশি নয়।
* টক মিষ্টি ফল মিশ্রিত করে খাবেন। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে তারা অবশ্যই ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করে এমন ফল খাওয়া বন্ধ রাখুন।
* ইফতারে অল্প খান, রাতের সমপরিমাণ খাবার খাবেন ইফতারে। রাতের খাবার হবে সকালের নাশতার সমপরিমাণ।
* সেহরির সময় দুপুরের খাবারের সমান খাবার খাবেন এবং শেষ সময়ে খাবেন তার মানে আপনার সেহরি খাওয়া শেষ হবার ৫ মি. পরই যেন ফজরের আজান দেয়।
* সেহরির সময় দুধ ও ভাত/দুধ কলা মিশিয়ে খান। দুধ ও কলা/আম ও ভাত গ্রহণ হতে বিরত থাকুন।