পশ্চিম লাদাখের গালোয়ান উপত্যাকায় সেনা কর্মকর্তা পর্যায়ে চীন-ভারত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে চীন সীমান্ত থেকে সেনাসদস্য প্রত্যাহার না করতে অনড় থাকায় কোনো রকম সমাধান হয়নি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার রাতে যেখানে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে সেই স্থানেই বৈঠকে বসেছে চীন-ভারতের সামরিক কর্মকর্তারা।
ওই সংঘর্ষে এক কর্নেলসহ ভারতীয় ২০ সেনা নিহত হয়েছেন। তবে অসমর্থিত সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে চীনের ৪৫ সেনা সদস্য নিহত বা আহত হয়েছেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মুহূর্তে ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো স্বাক্ষর করেনি চীন। পশ্চিম লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীন ও ভারতীয় বাহিনী কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বলা হচ্ছে, ১৯৬২ সালে যুদ্ধের পর ওই স্থানে সেনা টহল জোরদার বা আঞ্চলিক ভূখণ্ড দাবি করেনি চীন। তবে চীন সম্প্রতি গালোয়ান উপত্যাকায় ঢুকে ভূখণ্ড দাবি করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান করছে।
এর আগ বুধবারও মেজর জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানেও কোনো রকম সুরাহা হয়নি। এমন বৈঠক ৬ জুন প্যানগং তসোতে লেফটেন্যান্ট পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। দিল্লির দাবি, ভারতের দিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনের সেনা। সেই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়ার জন্যই দু’পক্ষের মধ্যে দর দরকষাকষি চলছে।
এদিকে গালোয়ানের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে কথা বলেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চীনের এই আগ্রাসন পূর্ব পরিকল্পিত বলে ওয়াং ই-কে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। গালোয়ানের এই বৈঠকে চীনের অনড় অবস্থানের জেরে বেইজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সুত্র-যুগান্তর