ফুটবল লিগ আয়োজন করত লিগ কমিটি। আর ফেডারেশন কাপ ফুটবল আয়োজন করত বাফুফে। তারা একদিক গেট সেল পেত অন্য দিকে লিগের আগে ক্লাবগুলো নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ পেত। সেই টুর্নামেন্ট এখন আধুনিক যুগে এসে এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে যে, দর্শক জানতেই পারে না কখন শুরু হলো।
গত ৩০ মে ফেডারেশন কাপ ফুটবল ফাইনালের মঞ্চে উঠেছিল মোহামেডান-আবাহনী। তখন অনেকের চোখে পড়ল, ফেডারেশন কাপের গুরুত্ব বাড়ল। ২০৯ দিন পর আজ থেকে আবার মাঠে গড়াচ্ছে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের আসর। এবার তিন ভেন্যুতে খেলা হবে। মুন্সীগঞ্জে বেলা আড়াইটায় পুলিশ-রহমতগঞ্জ এবং একই সময়ে গোপালগঞ্জে বসুন্ধরা কিংস-ফর্টিস মুখোমুখি হবে।
এবারের টুর্নামেন্ট হবে চলতি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের ফাঁকে ফাঁকে। বলা যায়, লিগের পেটের ভেতরে ঢুকে গেছে ফেডকাপ। লিগের খেলা চলবে, ফেডারেশন কাপের খেলাও চলবে। কখন লিগের খেলা হচ্ছে, কখন ফেডারেশন কাপের খেলা হচ্ছে সেটা বুঝতে গিয়ে দর্শকের কাছে অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে এই টুর্নামেন্ট। একটানা খেলা হলে দর্শক হিসাব রাখতে পারতেন। কিন্তু সেটা হওয়ার সুযোগ নেই। আজকে শুরু হয়ে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ২১ মে। ১৩৮ দিন লাগবে শেষ হতে। বলা যায়, ছয় মাস লাগবে শেষ হতে। ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন এএফসি কাপে খেলবে।
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ের রেকর্ড ছিল মোহামেডানের। সেটি এখন আবাহনীর হাতে। আবাহনী ১২ বার, মোহামেডান ১১ বার ট্রফি ঘরে তুলেছিল। ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপের প্রথম আসরে মোহামেডান-ব্রাদার্স যুগ্ম-চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনী ফেডকাপের ফাইনাল খেললেও ওয়ান্ডারার্স এখন নেই।
নতুন এসে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেয়েছে শেখ জামাল (তিন বার চ্যাম্পিয়ন), শেখ রাসেল (এক বার চ্যাম্পিয়ন) এবং বসুন্ধরা কিংস (দুই বার চ্যাম্পিয়ন)। টুর্নামেন্টের শেষ ফাইনাল খেলেছিল মোহামেডান-আবাহনী। টাইব্রেকিংয়ে মোহামেডান এখন চ্যাম্পিয়ন। ট্রফি মোহামেডানের ঘর থেকে বের করার লড়াই ৯ দলের, আর ট্রফি ধরে রাখার লড়াই মোহামেডানের। লিগের ১০ দল খেলবে। তিন দল করে দুই গ্রুপে ছয় দল আর এক গ্রুপে চার দল। মোহামেডান, আবাহনী, ব্রাদার্স, চট্টগ্রাম আবাহনী এক গ্রুপে পড়েছে।
আগামীকাল ঢাকায় বসুন্ধরা কিংসের মাঠে আবাহনী-ব্রাদার্স ম্যাচ। মোহামেডান খেলবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে গোপালগঞ্জে। এরপর আবার লিগের ম্যাচ হবে দুই দিন, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর।
ফেডারেশনকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জে। ফাইনাল, তিনটা কোয়ার্টার ফাইনালসহ গ্রুপ পর্বের পাঁচটা ম্যাচ হবে গোপালগঞ্জে। সব পড়েছে লটারিতে। সেমিফাইনাল দুটি হবে মুন্সীগঞ্জে।
ক গ্রুপে : পুলিশ, শেখ জামাল, রহমতগঞ্জ।
খ গ্রুপে : আবাহনী, মোহামেডান, চট্টগ্রাম আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
গ গ্রুপে : বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং ফর্টিস এফসি।