মেহেরপুর থানার অদূরে ফারুক নামের এক সরকারি কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ জানতে পারেনি। জানতে পারেনি তার পরিবার বা স্থানীয়রা।
পুলিশ কয়েকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ খুজার চেষ্টা করছে। তবে ২৪ ঘন্টাতেও তেমন কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া যায়নি। যথারিতি দাফন শেষে ফারুকের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। যেহেতু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোন কিছুই কেউ জানে না সে হিসেবে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। যদিও মোবাইল ফোনটি ঘাতকরা নাকি ভেঙে দিয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে মোবাইল ফোনটি অনেক আশার খবর দেবে এটাই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে সাধারণ মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে তা হলো শহরের মত একটি স্থানে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
তবে কি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? শান্ত মেহেরপুর কি অশান্ত হতে চলেছে? সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। দু’একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলেই আইন শৃঙ্খলা অবনতি বলা যাই ই বা কিভাবে। আবার খুব বেশি ভাল অবস্থা সেটিও বলা যাচ্ছে না। গত মাসের ২ তারিখে গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দুই মাসে দুই খুন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরো সক্রিয় হতে হবে। শান্ত মেহেরপুর যেন কোনভাবেই অশান্ত না হয়ে যায় সেদিকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।