এ বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, গরমে আমরা সাধারণ পাঁচ বছরের নিচের বাচ্চাদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে দেখি।
এ সময় তারা কিছুই কেতে পারে না। কখনো কখনো শরীরে হালকা জ্বর থাকে। এমনটি হলে বুকের দুধ পান করে এমন শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা স্যালাইন খেতে চায় না। তাদের অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আর একেবারেই স্যালাইন নিতে না চাইলে তরল অন্য যে কোনো খাবার, বাচ্চা খেতে পারে, তা দিতে হবে।
ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, আসলে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা একবার শুরু হলে, তা থামতে কিছুটা সময় লাগে। অনেক সময় ৮-১০ দিনও লেগে যেতে পারে। প্রশ্ন আসে তাহলে এ সময় আমাদের করণীয় কী? আমাদের করণীয় হলো, কোনোভাবেই বাচ্চা যেন পানি শূন্যতায় না ভোগে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য যেসব বাচ্চা মায়ের দুধ খায়, তাকে অল্প অল্প করে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। চিকিৎসক যে পরিমাণ ওরস্যালাইন লিখে দিয়েছেন, বাচ্চা একবারে নিতে না চাইলে বারবার চেষ্টা করে খাওয়াতে হবে।
তিনি পরামর্শ দেন, অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চা খেতে পারছে না কিনা এবং ঠিকমতো প্রস্রাব হচ্ছে কিনা। প্রস্রাব ঠিকঠাক না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। তখন চিকিৎসক রোগীর অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, নবজাতকের আসলে ত্বক সজীব থাকলে স্বস্তিতে থাকে। এজন্য গরমে বাচ্চাকে বেবি পাওডার দেওয়া যেতে পারে। তেল ব্যবহার না করাই ভালো। তবে গরমে একেবারেই কিছু ব্যবহার করা যাবে না, এমন ধারণা সঠিক নয়। প্রয়োজনে বেবি ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা সাধারণত বলে থাকি নবজাতককে ৭২ ঘণ্টা গোসল না করাতে। এরপর বাচ্চাকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। তাহলে সে সুস্থ থাকবে।
সূত্র: ডক্টর টিভি