শুধুমাত্র অটোবাইক ছিনতাইয়ের কারনে নৃশংস খুন হতে পারে না। এই ঘটনার আড়ালে কিংবা অদৃশ্য শক্তি কারা, তা খুঁজে বের করতে হবে।কি এমন ঘটেছিল যে তাকে এভাবে নির্মমভাবে খুন করতে হয়েছে? সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের মুল সন্দেহ হোটেল মালিক। হোটেল মালিকের কারণেই এই হত্যাকান্ড। সে যদি নির্দোষ হয় তাহলে তার হোটেলে কেনো এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটলো। আটকদের রিমান্ডে নিয়ে এসে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা আছে, অদৃশ্য শক্তি কারা আছে বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে বের হবে। রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত যারা দোষী তাদের সনাক্ত করে এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দিতে হবে। আমরা সঠিক তদন্ত দেখতে চাই, সঠিক বিচার চাই। দোষীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি চাই। নিহত আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার ও আসামিদের রিমান্ডে এনে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন নিহত আব্দুর রহমানের ভাগ্নে মো:সাইদুর রহমান।
আজ শনিবার (২৪ জুন) সকালের দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবী করেন তারা।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, অপর ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন, ভাই মজিবর রহমান, তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন, বোন নুরজাহান খাতুন, মেয়ে রিনা খাতুন, মেহেরপুর ইজিবাইক চালক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফলেউর রহমান।
মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, মেহেরপুরে হোটেল ইজাজ প্লাজা নামের অনুমোদনহীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোচালক আব্দুর রহমান (৫৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলাকাটা মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।
আব্দুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক।
এঘটনায় ওই দিনই হোটেল ইজাজ প্লাজার মালিক ঝন্টু মিয়াকে আটক করেন। এর একদিন পরে ১২ জুন জুন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাার বুদরাজপুর গ্রামের দীনবন্ধু বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মজদেত আলীর ছেলে রাজু শেখকে গ্রেফতার করা হয় ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইকি উদ্ধার করা হয়। এরপর ২০ জুন বিকালে মেহেরপুর শহরের কলেজগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের আলমগীর বাদশার ছেলে নাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেন। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়।
এর তিনদিন ৮ জুন রাতে নাহিদ চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার নাম করে আব্দুর রহমানকে বাড়ি থেকে অটোবাইক সহ নিয়ে আসেন। তারপর থেকে নিখোঁজ হন আব্দুর রহমান।