গানের দল মাইলস প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর চলছে। ৪০ বছর পূর্তির আগে শুরু হচ্ছে চার দশক উদ্যাপনের আয়োজন। শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র সফর। চার দশক উদ্যাপনের কনসার্টে অংশ নিতে আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে মাইলস। এই সফরে মাইলস আটটি কনসার্টে অংশ নেবে। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ রোববার সকালে জানালেন মাইলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদ।
শাফিন আহমেদ বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর বলতে যা বোঝায়, আমরা সেভাবেই দেশের বাইরে যাচ্ছি। আয়োজকেরা সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পর আমরা যেতে সম্মত হয়েছি। ৪০ বছর উদ্যাপনের জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আটটি কনসার্টে অংশ নিচ্ছি। চার দশক উদ্যাপনের এই আয়োজনের সমাপ্তি হবে ঢাকার কনসার্টের মধ্য দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র সফরের পাশাপাশি আরও কয়েকটা দেশে আমাদের টানা কনসার্ট করার পরিকল্পনা আছে। এই সফরের কারণে চার মাস দেশে থাকা হচ্ছে না আমাদের।’
আশির দশকে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের। প্রথম দিকে ব্যান্ডটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জনপ্রিয় শিল্পীদের গান করেছে। এ ধারা চলতে থাকে প্রায় ১১ বছর। ইংরেজি গানের চর্চার একপর্যায়ে ১৯৯০ সালে মাইলস বাংলা গান করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাইলস আজ দেশের বাইরেও জনপ্রিয়।
দীর্ঘ পথচলায় মাইলস দেশে ও দেশের বাইরে প্রায় দেড় হাজার কনসার্টে গান করেছে। দেশের বাইরে প্রথম গান করেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে (১৯৯৪)। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টানা তিন মাসের সফরে ১০টি কনসার্টে গান করে মাইলস। ওই সময় মাইলসের কনসার্ট যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালিদের মধ্যে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছিল বলে জানান শাফিন। তারপর নানা প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে যায়নি মাইলস। ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে আবার ১০টি মেগা কনসার্ট দিয়ে ইউএসএ ট্যুর করে মাইলস।
শাফিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে মাইলস সব সময় সচেতন। আমরা সব সময় চেয়েছি কনসার্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার। মাইলসের এবারের সফরেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
মাইলস ব্যান্ডের বর্তমান সদস্যরা হলেন শাফিন আহমেদ, হামিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, তূর্য আর জুয়েল। চার দশকের সংগীতজীবনে মাইলস অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। বিভিন্ন কনসার্টে তাদের গানে মাতোয়ারা হন শ্রোতারা। মাইলস ব্যান্ডের তুমুল শ্রোতাপ্রিয় গানের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘আর কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘পলাশীর প্রান্তর’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘প্রথম কবিতা এসে’, ‘ভুলব না তোমাকে’, ‘অনাবিল বিশ্বাসে’, ‘ভালোবেসো না’, ‘নীরবে কিছুক্ষণ’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘তুমি নাই’, ‘প্রতীক্ষা’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘চাই না’, ‘প্রিয়তমা মেঘ’ ও ‘নীলা’।