জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি বলেন, শহীদ শেখ কামালের গুন গুলোকে তরুণ সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশ প্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মানুষ ও দেশের সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টার আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরো বলেন শহীদ শেখ কামাল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।একজন সাংস্কৃতি ও ক্রিড়া সংগঠক শেখ কামাল তরুণ বয়সে জিবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে রনাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ছিল অসামান্য। সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়াঙ্গণে তার ছিল পদচারনা। তিনি সৃষ্টি করেছিলেন আবাহনী ক্লাব। তার বাজানো পিয়ানোর সুর বাড়িতে ঝংকার উঠতো।সে ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র। কথা বলতেন কম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী দোদুল আরো বলেন, শোকের মাস আগষ্ট, একটা সংগ্রাম ও চেতনার মাস। ৭৫ সালে এই নির্মম হত্যাকান্ড না ঘটলে বাঙ্গালী জাতির জন্য শেখ কামাল বিরাট অবদান রাখতে পারতেন। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতীকে বিশ্বাস করতেন। ভালবাসতেন এদেশের প্রতিটি মানুষকে। তিনি কখনো বিশ্বাস করেননি যে, এই জাতী তাকে ও তার পরিবারকে হত্যা করবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডি) মৃধা মো: মুজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, নাজমুল হুদা, আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, মেহেরপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টচার্য, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক প্রমুখ।