বেশ কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ সময় টানা বেশ কয়েকদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই রকম ঠাণ্ডায় শিশুদের পোশাকের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় শিশুর স্বাস্থ্যজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুদের শীত-পোশাকের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার মাত্রার দিকে খেয়াল করতে হয়। হালকা শীতে বেশি গরম কাপড় পরানো যেমন চলবে না, তেমনি ভারি শীতে আবার হালকা কাপড় পরানো যাবে না। শিশুদের শীতের পোশাক নরম কাপড়ের হওয়া উচিত।
শিশুর শীতের পোশাকের আরামদায়ক তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের শীতের পোশাক নরম আর পাতলা হওয়া ভালো। কারণ খসখসে অথবা শক্ত কাপড়ে তাদের ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। শীতের পোশাক সুতি হলে তারা পরে আরাম পাবে। এছাড়া সিল্ক বা ফ্লানেলের শীত পোশাক বেছে নিতে পারেন। গরম উলের ভারি শীতের পোশাকের নিচে সুতি কাপড়ের পাতলা আরেকটি গেঞ্জি-জাতীয় পোশাক পরিয়ে দিতে পারেন।
শৈত্যপ্রবাহের সময় কয়েকদিন একটু বেশি ঠাণ্ডা থাকে। তবে ইউরোপের দেশগুলোর মতো প্রচণ্ড শীত এ দেশে পড়ে না। তাই আমাদের দেশের পোশাক এবং শিশুদের স্কুল ড্রেসও সাধারণত অতটা ভারি হয় না। শীতে শিশুকে স্কুল ড্রেসের ওপর কার্ডিগান, হুডি বা জ্যাকেট পরাতে পারেন।
শিশুদেরকে ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের স্কুল ড্রেসের নিচে নরম ও পাতলা থার্মাল লেয়ার পরানো খুবই কার্যকর। খেলাধুলা করার সময় ঘেমে গেলে বাচ্চারা কার্ডিগান, হুডি বা জ্যাকেট খুলে ফেলতে পারে। এই বাড়তি পোশাকটি তাদের শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখার পাশাপাশি ঘেমে গেলেও তা দ্রুত শুকাতে সহায়তা করবে। তখন পোশাকের নিচের থার্মাল লেয়ার শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা দেবে।
নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার থেকে শুরু করে বসুন্ধরা সিটি কিংবা যমুনা ফিউচার পার্কেও আপনি পছন্দমতো থার্মাল লেয়ার কিনতে পারবেন।
অনলাইন থেকে কিনতে চাইলে দারাজ বা ইউবাইর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর শরণাপন্ন হতে পারেন। থার্মাল লেয়ার না থাকলে শার্ট, স্কার্ট, প্যান্ট বা সালওয়ারের নিচে সুতির ভারী ফুলহাতা টি-শার্ট, লেগিংস ব্যবহার করতে পারেন।
ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি নজরদারি রাখতে হবে। রাতের বেলায় তারা যেন পর্যাপ্ত উষ্ণতা পায় সেটি নিশ্চিত করুন। শিশুদের পায়ে রাতে মোজা এবং দিনের বেলায় নরম কাপড়ের জুতা পরিয়ে দিন। এতে পা শীত থেকে রক্ষা পাবে।
সূত্র: ইত্তেফাক