ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি(জনযুদ্ধ)’র কমান্ডার হানিফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে র্যাব-৬।
গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো-হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ছনুর ছেলে আবু সাঈদ ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মৃত আনজের আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ মঙ্গলবার সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হরিণাকুণ্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম রাজু হত্যার ঘটনায় সোমবার নিহত হানিফের ভাই সাজেদুল ইসলাম ইসা বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই আসামী ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব-৬। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদকে আটক করা হয়। ঠিক একই সময় র্যাবের পৃথক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করা হয়। তাদের দুৃই জনকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরা হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পরবর্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ^শানঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হরিণাকুণ্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিায়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম রাজু। এই ৩ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন জাসদ গণবাহিনী পরিচয়ে জনৈক কালু। তিনি ওই রাতেই গণমাধ্যম কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠান।