ঝিনাইদহের শৈলকুপায় খালফলিয়া মিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কোন পত্রিকা, নোটিশ বোর্ড এবং এলাকায় মাইকিং না করে সভাপতির যোগসাজসে গোপনে তফসিল দিয়ে কমিটি গঠন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্যরা এর প্রতিকার চেয়ে মাধ্যামক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোর, জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ ও জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদনের আলোকে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, অভিবাভকদের কাছে গোপন রাখতে ঘোষিত তফসিল ঝিনাইদহ থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় না দিয়ে নিয়োম ভঙ্গ করে বাইরের পত্রিকায় দেয়ওয়া হয়েছে, তাছাড়া স্কুলের নোটিশ বোর্ড ও মাইকিং করে প্রচারের কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানেননা কবে কখন কোথা থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে হবে এবং জমা দিতে হবে। এব্যাপারে যথেষ্ট প্রচার প্রচারণার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষককের পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি বানাতে সব কিছু গোপন করা হয়েছে।
এক অভিভাবক সদস্য জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারী সকালে অভিভাবকদের মিটিং এর চিঠি তাদের পছন্দের কিছু অভিভাবককে ১ফেব্রুয়ারী রাতে এবং ২ফেব্রুয়ারী সকালে পৌছানো হয়েছে। ফলে ২ফেব্রুয়ারী কয়েকজন অভিভাবক সদস্যের উপস্থিতিতে ৪জন অভিভাবক সদস্য এবং ২জন শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মনোনিত করেছেন।
সভাপতি নির্বাচনের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারী দেওয়া থাকলেও তা তড়িঘড়ি করে এগিয়ে নিয়ে সদস্যদের উপর প্রভাব খাটিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা শৈলকুপা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে বসে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করে গত কমিটির সভাপতি সোহেল আহম্মেদ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়। ওই দিন তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না ১৩ ফেব্রুয়ারী তাদের বাড়ির উপরে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এই সভাপতি বিধি বহির্ভূত ভাবে পর পর তিনবার সভাপতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে। এব্যাপারে অভিযোগকারী সাবেক ইউপি সদস্য বলাই বিশ্বাস বলেন, সম্পুর্ণ বে-আইনি ভাবে স্কুলের অভিভাবকদের না জানিয়ে সভাপতির ইচ্ছা মাফিক হেড মাস্টার পরিতোষ কুমার বিশ্বাস ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং সভাপতি বানিয়েছেন। আমার বাবা স্কুলের জমি দাতা হয়েও আমাদের কাউকে দাতা সদস্য রাখা হয়নি। আমি দাতা সদস্য থাকতে চাইলে আমার নিকট থেকে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি নিয়োম মাফিক সব কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন অভিভাবক সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মনোনয়ন ফরম কিনতে যায়নি এজন্য বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছে। প্রচার প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন করলে মাইকিং করার কোন প্রমান দেখাতে পারেননি তিনি। এবং কত তারিখের প্রত্রিকায় তফসিল দেওয়া হয়েছে তাও তিনি বলতে পারেন নি। স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে সুরাহার আবেদন জানান অভিভাবকরা।