ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল দুপুরে জেলা কমিটি ও শৈলকুপা উপজেলার নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল জেলা বিএনপির কার্যালয়ে। তবে বিবাদমান গ্রুপ গুলো শতশত কর্মী-সমর্থক সহ মারমুখি অবস্থান নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় দলটির জেলা কার্যালয়ের সামনে। এক পর্যায়ে পুলিশ হটিয়ে দেয় কর্মী-সমর্থকদের। পণ্ড হয়ে যায় বৈঠক। দলটির কেন্দ্রীয় বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এড. আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাবেক এমপি আব্দুল ওহাবের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ বিরোধ চলছে।
বৈঠকের জন্য শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহবায়ক আবুল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান দিপু, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান আলী, মিজানু রহমান বাবলু, শৈলকুপা পৌর আহবায়ক আবু তালেব, মনিরুজ্জামান হিটু, হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, সেলিম রেজা ঠান্ডু, রফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অনুমতি ছাড়া বিএনপির বিবাদমান গ্রুপগুলো বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক জড়ো করায় হানাহানির আশঙ্কা দেখা দিলে তাদের হটিয়ে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত শৈলকুপা উপজেলায় বিএনপির থানা, পৌর ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম বিরোধ তৈরী হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দলটির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে আসা নতুনদের নিয়ে কমিটি করা হচ্ছে।
সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব জানান, বিএনপির কাছে অগ্রহণ যোগ্য সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে শতশত কর্মী নিয়ে ‘হটাও জাসদ, বাঁচাও বিএনপি’ শ্লোগানে তারা আন্দোলনে নেমেছে। এসব কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওহাব, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু প্রমুখ নেতা ঐকবদ্ধ হয়ে বৈঠক করেন। তারা শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহব্বায়ক কমিটিগুলো বাতিলের দাবি জানান।