ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে থানা পুলিশের উপরে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপরে। এ ঘটনায় ৫পুলিশ সদস্যসহ ২৫/২৬ আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে শৈলকুপা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগন ও থানা পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং হামলাকারীদের মধ্যে ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। শৈলকুপা সার্কেলেরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ মিনিটের এ হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলাকারীদের ২জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ, গত শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যার ফলে এমনটি হয়েছে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
সে দিন সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।
এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, এ দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।
পৌর মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।