এশিয়া কাপে মিডলঅর্ডার নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছিল পাকিস্তান। শ্রীলংকার কাছে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট এমতাবস্থায় দলে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে অন্তর্ভুক্তির দাবি উঠে। দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইছেন বিশ্বকাপে শোয়েব মালিক খেলুক।
দেশটির সাবেক তারকাদের মধ্যেও অনেকে শোয়েব মালিককে জাতীয় দলে ফেরানোর পক্ষে।
কিন্তু কারও কথাই এখনও কানে তোলেনি পাকিস্তানের নির্বাচকরা। তাকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেন তারা।
অথচ শোয়েব মালিক পিসিএসসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। ৪০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার এখনই ক্রিকেট ছাড়তে চাইছেন না। তবুও টিম ম্যানেজমেন্ট তার প্রতি সদয় নয়।
টিম ম্যানেজমেন্টের এমন কাণ্ডে গুঞ্জন ওঠে, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে শোয়েব মালিকের সম্পর্কটা বোধ হয় ভালো নয়, তাই গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেও বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি এই অলরাউন্ডার।
গুঞ্জন বাড়তে থাকলে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শোয়েব মালিক।
বাবর আজমের সঙ্গে বাজে সম্পর্কের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন ৪০ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। জানালেন, বাবরের সঙ্গে তার সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার সঙ্গে এ কথা মেলানোর যৌক্তিকতা নেই। তিনি পাকিস্তান দলে খেলতে চান, অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘সামা টিভি’কে শোয়েব মালিক বললেন, ‘দেখুন, আমার কাজ হলো ক্রিকেট খেলা। নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচক মহল, টিম ম্যানেজমেন্ট ও পিসিবির সিদ্ধান্ত। যখনই কোনো সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই আমার কাজ। আর আমার কারও সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমি কারও বিরুদ্ধেও নেই। সব সময় ইতিবাচক থাকাই আমার ক্যারিয়ারে সফলতার রহস্য।’
তবে কি বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই পাওয়া নিয়ে বাবরের সঙ্গে কথা বলবেন কি?
শোয়েব মালিক বলেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রয়েছে। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, আগে আমরা বেশি কথা বলতাম। কিন্তু এখন সে একজন অধিনায়ক এবং তাকে সেই জায়গা দেওয়া উচিত। আমিও এর মধ্য দিয়ে গেছি এবং আমি তার উপর চাপ দেইনি। আমি তাকে (আমাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য) বলব না।’
সার্বিক পরিস্থিতিতে শোয়েব মালিক দলে ফিরবেন কিনা সেটি এখন বড় প্রশ্ন। তবে আশার বিষয় হচ্ছে-মিডলঅর্ডার ফখর জামানকে দলে ফিরিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
এশিয়া কাপ চলাকালে পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ৯ ইনিংসে ১৪০.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ২০৪ রান করেন মালিক। সবশেষ পিএসএলেও দারুণ ছন্দে ছিলেন শোয়েব। ১৩৭.৩২ স্ট্রাইক রেটে ১১ ইনিংসে ৪০১ রান করেছেন, তিনটি ফিফটিও ছিল সেখানে।
এমন সব দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা না পাওয়া নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট।