মাত্র ২৫ ভাগ সংস্কার কাজ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজসে শতভাগ বীল উত্তোলন করে নিয়েছেন রামনগর ও তেরাইল কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের ঠিকাদারী আমিনুল হক খান।
গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড তেরাইল ও ৫ নং ওয়ার্ড রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সংস্কার কাজে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে ইতোমধ্যে ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মাসুম পারভেজ মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন। ওই আবেদনে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আজগর আলী ও রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত অভিযোগপত্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন , কুষ্টিয়া, মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার , উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার বরাবর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তেরাইল ও রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৯ টাকা বরাদ্দ দেই।
ক্লিনিক দুটিতে, নলকুপ, পানির ট্যাংক, পানির লাইন, ইলেক্ট্নিকের সমূদয় কাজ, ফ্লাট সলিং, বাথরুমের কাজ, পানির পাম্প ও অন্যান্য কাজগুলোও আগে করা ছিল। তারপরেও আগের করা সেই কাজগুলো দেখিয়ে নতুন করে বীল করে তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার মেহেরপুর শহরের হালদারপাড়া এলাকার ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম খান।
রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শরিফুল ইসলাম বরেন, ফ্লোরে সামান্য কাজ করেছেন। একটি ফ্যান লাগিয়েছে। অন্য কোনো সংস্কার কাজ এখানে হয়নি।ক্লিনিক আগে যেরুপ ছিল সেভাবেই আছে। অথচ বিরাট সংস্কার কাজ দেখিয়ে বিল করেছে অনেক কাজের। এলাকার মানুষ কাজ বন্ধও করে দিয়েছিলেন। পরে কিছু সংস্কার করে বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
এদিকে তেরাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি খাইরুল ইসলাম বলেন, তিনটি সিলিং ফ্যান দিয়েছেন এবং ছাদে হাল্কা ঢালাই ও প্লোরে টাইলস দিয়েছেন। এই ছিল আমার কমিউনিটি ক্লিনিকের সংস্কার।
স্থানীয় মেম্বর মাসুম পারভেজ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে, জেলা প্রশাসকের কাছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করছি।
রামনগর গ্রামের নবীছদ্দিন আমরা ঠিকাদারের অনিয়ম দেখে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে ভাল মানের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। কিন্তু পরে দেখা গেলো আগের মত করেই পালিয়ে গেছে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রানী বলেন, আমি একটি ক্লিনিকের সংস্কার দেখেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ঠিকাদারের বিলে স্বাক্ষর করেছে দেখে আমিও স্বাক্ষর করে দিয়েছি।তবে, খোঁজ নেবেন বলেও জানান তিনি।
উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুন বলেন, কাজ দেখেই ঠিকাদারের বিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে।