গত ৯ জানুয়ারি, মজুরী বৃদ্ধি, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ,কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ কয়েকদফা দাবিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিক্ষোভ করেন আকিজ বিড়ি কারখানার শ্রমিকেরা।
কারখানা কর্তৃপক্ষ-প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় শিগগিরই সমাধানের অঙ্গীকারে সেদিন ঘরে ফেরেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
এদিন শ্রমিক অসন্তোষ সামলাতে ফাঁকা গুলিও ছোড়ে দৌলতপুর পুলিশ, এ সময় আহত হন অন্তত ৫জন। অঙ্গীকারের সপ্তাহ দুয়েক পার হলেও পরবর্তীতে কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষে কোন বার্তা পাননি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। দিনমজুর পরিবারগুলো দিন কাটাচ্ছেন অনিশ্চয়তা আর হতাশা নিয়ে।
অনেকেই অভাবে আছেন দু’বেলা পেট পুরে খাওয়ার। শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের ক্ষোভও প্রকাশ করেন অনেকেই। গণমাধ্যমের কাছে এসব বক্তব্য তুলে ধরেন স্থানীয় বিড়ি শ্রমিকেরা। আরেক দিকে শিগগিরই সমাধান না হলে ২৪ জানুয়ারি কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা বিল্লাল হোসেন।
তবে, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া বা পুনরায় কারখানা চালুর প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোন প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেননি তারা। কারখানায় দায়িত্বরতদের অস্বাভাবিক আচরণ আর অসহযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের ভূমিকাকে।
দৌলতপুরে আন্দোলনকারীদের ঘরে ফেরাতে অংশ নেয়া দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এজাজ আহম্মেদ মামুন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী জানান, আমরা সকল পক্ষের সাথে কথা বলেছি, আরও আলাপের প্রয়োজন। অ্যাডভোকেট আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ এমপি দেশে ফিরলে আশা করছি বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছাবে। শিগগিরই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।