নিরাপত্তাহীনতা দূরীকরণ ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির দখল পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেহেরপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর পৌনে তিনটার সময় মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সন্নিকটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সাহিদা খাতুন এবং তার পুত্র মোঃ এসকেব আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ এসকেন আলী বলেন, ‘আমি মোঃ এসকেন আলী। আমার মাতা সহিদা খাতুন, স্বামী- মৃত খায়রুল বাসার, সাং- দিঘিরপাড়া, ০৫নং ওয়ার্ড, মেহেরপুর পৌরসভা, থানা ও জেলা- মেহেরপুর।
আমার মাতা সহিদা খাতুনের দ্বিতীয় স্বামী মৃত খায়রুল বাসার-এর নামীয় সম্পত্তি থেকে আমার মা সহিদা খাতুন তাহার অংশমত ৬৪.৯৯ একর সম্পত্তি পান এবং সহিদা খাতুন নিজ নামে খারিজ করেন এবং খাজনা পরিশোধ করিতেছেন। আমার মাতা তাহার মৃত স্বামী খায়রুল বাসার -এর নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির মধ্যে আমাকে কিছু সম্পত্তি দান মূলে আমাকে রেজিস্ট্রি করিয়া দেয়। আমি দানসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিজ নামে খারিজ করিয়া যথারীতি খাজনা পরিশোধ করিতেছি। উক্ত সম্পত্তিতে থাকা ফসলাদি, পুকুরের মাছ বা লীজের টাকা বা জমির উপর অবস্থিত গোডাউনের ভাড়া আমাদের অংশমত আমাদের দেয় না।
কিন্তু উল্লেখিত সম্পত্তি আমরা ভোগ দখল করিতে গেলে মৃত খায়রুল বাসার-এর দুই ভাই ১. মোঃ খলিলুর রহমান ও ২. মোঃ খোরশেদ আলম স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দ্বারা আমাদের বাধা সৃষ্টি করিতেছে এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে খুন জখমের হুমকী দিতেছে। এতে আমি এবং আমার মা ও বোন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি এবং আমাদের বৈধ সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইতেছি।
উল্লেখিত সম্পত্তির বিষয় নিয়ে উক্ত মোঃ খলিলুর রহমান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করে। যাহা বিজ্ঞ আদালত গত ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই তারিখে খারিজ করিয়া দিয়াছেন। মামলাটি খারিজ হওয়ার ১ বৎসর পার হইয়া গেলেও উল্লেখিত ১. মোঃ খলিলুর রহমান ও ২. মোঃ খোরশেদ আলম আমাদের উক্ত সম্পত্তির দখল ছাড়িয়া দিতেছে না এবং আমাদের খুন জখমের হুমকী প্রদান করিতেছে। আমরা নিরূপায় হইয়া আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আইনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের এবং উক্ত জমি উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি।’