করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত বুধবার থেকে সারাদেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায় শুরু হয়েছে ৮দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে, এবছর মাহে রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বিভিন্ন অজুহাতে যে সব মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও নিম্নআয়ের মানুষ অনেকে রাস্তায় নেমেছেন। যানবাহন না থাকলেও রাস্তায় বেশকিছু ভ্যান ও মোটরসাইকেল চোখে পড়েছে।
আবার অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। তবে কাঁচা বাজারগুলো খোলা জায়গায় স্থানান্তরের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে কাঁচা বাজার গুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের কাঁচারি বাজারে সাপ্তাহিক হাটে দেখা মিলেছে জনসমাগম।
তবে, আলমডাঙ্গা শহরের হাইরোড, আনন্দধাম, লালব্রিজ ও স্টেশন এলাকায় পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যানবাহন বন্ধ থাকায় ভ্যানে করে যেসব মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, সদুত্তর না পাওয়ায় অনেককেই ভ্যান থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি টিম কাজ করছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা ও অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, সহকারী কমিশনার ভূমি হুমায়ন কবির বাদশা।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার এই লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই সবাইকে অন্তত নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানান।