কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি সহ সারাদেশের সাংবাদিক নির্যাতন, খুন, গুম, মামলা, হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মেহেরপুরের সকল সাংবাদিকগণ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। সাংবাদিকদের সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম রসুল।
এসময় তিনি সাংবাদিক রুবেল হত্যার রহস্য উন্মোচন করে হত্যায় যারাই জড়িত থাক, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন অরণ্য, মহাসিন আলী আঙ্গুর, রুহুল কুদ্দুস টিটো, গাংনী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান,বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সহ-সভাপতি ইয়াসিন রেজা, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ আতিক স্বপন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম।
সাংবাদিক বেন ইয়ামিন মুক্তের সঞ্চালনায় এছাড়াও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার জেলা প্রতিনিধ ফারুক মল্লিক, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধ রাশেদুজ্জামান, বিবিসি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, বিজয় টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তৌফিক উদ দোলা রেজা, ভোরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুর্তজা ফারুক রুপক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসককের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলামের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেল গত ৩ জুলাই (রোববার) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার সিঙ্গার মোড়ে পত্রিকা অফিসে কাজ করছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে তিনি কাউকে কিছু না বলেই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তার সবগুলো মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সাংবাদিক রুবেলের ছোট ভাই মাহবুব কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গোলাম কিবরিয়া সেতুর নিচে তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।