বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমকে দলে নেই। সাকিব তবুও অন্য দুই ফরম্যাট খেলেছেন, মুশফিক ছুটি নিয়েছেন গোটা সফর থেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই দুই সেনানীর বিকল্প খোঁজা সহজ নয় মোটেও। তবে এজন্য সুযোগ দেখছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সংবাদমাধ্যমকে মিরাজ বলেন, ‘মুশফিক ভাই হজের জন্য খেলছেন না। সাকিব ভাই পারিবারিক কারণে খেলছেন না। আমার কাছে যে জিনিসটা মনে হয়, যারা তাদের জায়গায় এসেছেন, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে তো তাদের ক্যারিয়ারে ভালো হবে। নিজেদের জায়গা ভালো কিছু করতে পারবে তারা যদি এই সুযোগটা নিতে পারে তাহলে তাদের ক্যারিয়ারের জন্য এবং দেশের জন্য ভালো হবে।’
মুশফিকের অভাব পূরণ করা না গেলেও উইকেটের পিছনে তার বিকল্প আছে। ব্যাটিংয়ে লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহানরা পুরোপুরি না পারলেও কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে সাকিবের না থাকা দলের ভাবনার কারণ। বাঁহাতি অলরাউন্ডার না থাকা মানে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে হবে, না হয় বাড়তি একজন বোলার। সেক্ষেত্রে একাদশ তৈরিতে হিমশিম খেতে হয় গোটা দলকে। এক সাকিবের অভাব পূরণ হয় না দুইজন ক্রিকেটার দিয়েও!
সবশেষ ওয়ানডেতে যেমন একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে খেলাতে হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৬ ব্যাটসম্যান ৫ বোলারের পথে হাঁটতে হবে দলকে। এ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে মিরাজ দায়িত্ব নিতে চান নিজের কাঁধে। উপায় হিসেবে জানালেন, শেষদিকে ব্যাট হাতে দলের জন্য কিছু রান যোগ করতে চেষ্টা করবেন।
মিরাজের বলেন, ‘সাকিব ভাই খেললে তো এই জিনিসটা হয় না। উনি যেহেতু খেলছেন না, আমি মনে করি আমাদের সবার জন্য একটা সুযোগ। আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব সহকারে খেলতে পারি তবে ভালো হবে। উনি থাকলে সব সময় আমাদের জন্য ভালো হয়। বাড়তি সুবিধা থাকে। কিন্তু যেহেতু খেলছে না এর জন্য তো একটা উপায় বের করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কীভাবে ভালো খেলতে হবে, এর জন্য আমাকে হয়তো একটু বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। আমি লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করি। আমাকে একটু বেশি ফোকাসড থাকতে হবে, টিমের রোল যেন গুরুত্বপূর্ণভাবে পালন করতে পারি। দল যদি আমার কাছ থেকে ৩০-৪০ রান আশা করে, আমি যদি ওভাবে দিতে পারি তখন হয়তো একটু সুবিধা হবে টিমের জন্য।