এবছর সাফ (সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন) চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতেই হচ্ছে। নেপাল যে আবেদন করেছিল সেটি অনুমোদন হয়নি। কারণ সাফের নতুন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের চাওয়া আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতে হোক। সরাসরি বলতে গেলে, দুবাইভিত্তিক স্পোর্টস পার্টনার ইন্টারন্যাশনাল নামের মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের শর্ত অন্তত ভারতে তাদের প্রথম টুর্নামেন্টটা হতে হবে। এটা নাকি সবাই মেনে নিয়েছে। গতকাল সাফের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের ফুটবল কর্মকর্তারা হাজির ছিলেন।
মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২৩ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সাফের চারটি আসর আয়োজনে মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকবে দুবাই ভিত্তিক স্পোর্টস পার্টনার ইন্টারন্যাশনাল। প্রথম আসর, যেটি ভারতে হবে, আগামী ২০ জুন শুরু হবে। সেই সাফের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। পরের সাফের খেলাগুলোর জন্য দেড় মিলিয়ন ডলার করে পাবে সাফ।
বাকি তিনটি সাফের খেলা হওয়ার কথা রয়েছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক পদ্ধতিতে। ভারত এটিতে আপত্তি জানিয়েছে। এই পদ্ধতিতে খেলা হতে হলে সময় বেশি লাগবে। টুর্নামেন্ট লম্বা হয়ে যাবে। সাফের সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, যেহেতু এবছরের পরের সাফ হতে আরো দুই আড়াই বছর সময় লাগবে। তাই অন্যান্য দেশগুলো বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখবে।
তিনি বলেন, ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে সব দেশ একমত হলে তবে খেলা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে।’ আসছে জুনের সাফ ভারতের কোথায় হবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে ১০ মার্চের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। ভারতের সাফে খেলতে হলে পাকিস্তানকে ভারতে আসতে হবে। দুই দেশের রাজনৈতিক বিষয়টা গতকালকের সাফের সভায় উঠেছিল। আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান সাফে খেলতে ভারতে যাবে। ভারত বলেছে তারা ভিসা অ্যারেঞ্জ করবে।’
সূত্র : ইত্তেফাক