সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে বাংলাদেশ দল আজ সকালে নেপালে যাচ্ছে। কাঠমান্ডুর দশরথে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আগামী ১৭ অক্টোবর উদ্বোধন হলেও বাংলাদেশ প্রথম খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ অক্টোবর। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবার তাদের ট্রফি ধরে রাখার মিশন।
কিন্তু ট্রফি নিয়ে তারা ভাবছে না। কারণ একটা একটা করে ম্যাচ খেলে এগিয়ে যেতে চায়। সাদা চোখে সাবিনাদের হিসাব হচ্ছে ফাইনালে পৌঁছাতে হবে। এবার কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলে বাংলাদেশ ফুটবল দল নেপাল যাচ্ছে। প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পরখ করার সুযোগ পাননি সাবিনারা। তার ওপর ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাংলাদেশ দলের অনেক ফুটবলার এবারের স্কোয়াডে নেই।
ইংলিশ কোচ জেমস পিটার বাটলারের ২৩ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জন নতুন হলেও অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম ছাড়া আট জনরই এটি প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সবাই অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯-সহ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রীতিম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করার কারণে এবার সাফে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ট্রফি আনতে যাবে, নাকি ট্রফি দিয়ে আসবে, তা নিয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দেখার সুযোগ হয়নি। কোচ বাটলার বলেছেন, ‘অভিজ্ঞ ও তারুণ্যনির্ভর দল এটি। এ দল নিয়েই আমরা শিরোপা ধরে রাখার জন্য লড়াই করব। প্রথমে আমাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হবে, তারপর ফাইনাল।’ ইংলিশ কোচ বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০ বছর খেলেছি, তাই ফুটবল আমার কাছে চাপের নয়, উপভোগের। আমরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করব। আমরা মুখে হাসি নিয়ে খেলব। এ নিয়ে আমার ওপর কোনো চাপ নেই।’
দুই বছরের ব্যবধানে সাফের দল বদলে গেছে আমূল। গতবারের নয়জন নেই এবার। বিশেষ করে, চার গোল করা ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না এবং রক্ষণের সবচেয়ে বড় ভরসা আঁখি খাতুন ফুটবল ছেড়ে চলে যাওয়ায় শক্তি কমেছে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমি ওদেরকে মিস করব।’ সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রসঙ্গে কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘পেছনর কথা বলে লাভ নেই। অতীতে যেটা অর্জন করেছি, সেটাকে শ্রদ্ধা করি, এটা নতুন টুর্নামেন্ট। এই দলটারও দারুণ সম্ভাবনা আছে।’
প্রথম বারের মতো সাফ খেলতে যাচ্ছেন গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার, মিডফিল্ডার আইরিন খাতুন, ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু, ফরোয়ার্ড মাতসুসিমা সুমাইয়া, মুনকি আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা ও সাগরিকা। পুরোনো ১৪ জন হচ্ছেন-রূপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, সিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, স্বপ্না রানী, সানজিদা আক্তার, ঋতুপর্ণা চাকমা, সাবিনা খাতুন, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার (জুনিয়র) ও কৃষ্ণা রানী সরকার।
সূত্র: ইত্তেফাক