করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ার চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরের পর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করা হবে। এতে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলী বলেন, সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ দুপুরের পর চার্জশিটটি দাখিল করা হবে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে।
এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর পর ১৫ জুলাই আরিফুলের ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ১৬ জুলাই রিমান্ডে মুখোমুখি হন আরিফ-সাবরিনা।
এর আগে গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ১৩ জুলাই তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৭ জুলাই আরো দুদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। রিমান্ড শেষে ২০ জুলাই আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
সূত্র- কালের কন্ঠ