মেহেরপুরে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন মামলার বাদি হাসনাত জামান।
মামলাটিতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী মোনালিসা, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল সহ ১৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার ২১ আগষ্ট দুপুরে মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল ট্রাইবুনালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, প্রকৃত আসামীদের বাদ পড়ে যাওয়া এবং নিরপরাধ ব্যাক্তিদের নাম আসামি তালিকায় ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়াতে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছিলো। স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিচারক এবং মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মন্জুরুল ইমাম বাদী ও আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। অতঃপর মেহেরপুর সদর থানার ওসি সেখ কনি মিয়াকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি হাসনাত জামান বলেন, ‘আমরা চাই না কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হোক। এজন্য প্রকৃত আসামীদের বাদ পড়ে যাওয়া এবং নিরপরাধ ব্যাক্তিদের নাম আসামি তালিকায় ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।’
মেহেরপুর জেলা বারের সভাপতি ও বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, ‘বাদি স্পেশাল ট্রাইবুনালে ১৬৬ জনের নামে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে একটি মামলা করেছিলো। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এবং মেহেরপুর সদরন থানা মামলাটি এফআইআর ভূক্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছিলো। আজ বাদি আসামি তালিকায় ভূল হয়েছে জানিয়ে স্পেশাল ট্রাইবুনাল, মেহেরপুরে ১/২০২৪ নম্বর মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করে।আমি বাদির পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতে বাদিকে সহযোগিতা করেছি মাত্র।
উল্লেখ্য, মেহেরপুরে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী মোনালিসা হোসেন, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলসহ ১৬৬ জন নামিয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ জনে বিরুদ্ধে সোমবার (১৯ আগস্ট) মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল ট্রাইবুনালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।