মেহেরপুর ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্কের সীমানা প্রাচীর ও স্মৃতিস্তম্ব নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে চলছে নির্মান কাজ। কাজ তদারকির জন্য একজন কার্য-সহকারি থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে তার দেখা পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকার কারনে এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
৪০ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৩ টাকা বরাদ্দে সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ পায় মেহেরপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ার-সাদাত। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা।
অপরদিকে ২১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের কাজ পায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের ঠিকাদার সোহেল রেজা। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ।
কাজ দুটিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরও নিম্বমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান কাজ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সীমান প্রাচীর নির্মানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্বমানের ইট। সেই সাথে গাথুনিতে ব্যবহার হচ্ছে না পর্যাপ্ত সিমেন্ট। প্রাচীরের ভিত ও ব্যবহৃত রডের ক্ষেত্রেও রয়েছে অনিয়ম।
পার্কের পশ্চিম পাশে নির্মান করা হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ব। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এটির নির্মার কাজ আপাতত বন্ধ আছে। এটি নির্মার্নে সব চেয়ে বড় অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। নিন্মমানের ইট ও বালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে এটি। এছাড়াও একটি মাত্র ইট মাটির নিচে দিয়ে তার উপর দিয়ে চলছে গাথনি।
সীমানা প্রাচীর নির্মানের বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, এখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই। এরপর যদি ভাটা থেকে নিম্নমানের ইট কিছু চলে আসে সেগুলো মিস্ত্রিকে বলেছি বাদ দেওয়ার জন্য।
স্মৃতিস্তম্ভের কাজের বিষয়ে সাহারবাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) এইসবের দিকে না তাকিয়ে যেখানে চাল চুরি হচ্ছে সেখানে তাকান। আর আমার কজে কোন দুই নাম্বারী হচ্ছে না। যে সব ইট গুলো ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর আবার টাইলস বসবে।
গাংনী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিরঞ্জন চক্রবর্তি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা তো সবাই ত্রাণ বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি। তারপর আমরা ভাট পাড়ার কাজ নিয়মিত তদারকি করছি। যাতে কোন অনিয়ম না হয়।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্কের কাজের বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। নির্মান কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।