কুষ্টিয়ায় সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে সাদিক হোসেন (৯) নামের এক শিশুর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাজাম ফুরকান আলী খলিফা (৭০)কে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরতলী উদিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু সাদিক হোসেন কুষ্টিয়া শহরতলীর উদিবাড়ি এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে। সে উদিবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র।
কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওহিদুল আলম জানিয়েছেন শিশু সাদিকের লিঙ্গের দুই তৃতীয়াংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্ষণ হয়েছে।
জরুরী সার্জারি বিভাগে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচানো গেলেও পরবর্তীতে কতটুকু স্বাভাবিক হতে পারবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
সাদিকের পিতা আকতার হোসেন বলেন, বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় ছেলের খৎনা করতে হাজাম ফুরকান আলী বাড়িতে আসেন। যথারীতি নিয়মে খৎনা করতে গিয়ে পর পর দুইবার খুর চালিয়ে লিঙ্গের মাথা থেকে দুই টুকরো কেটে ফেলে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরিস্থিতি যখন খুব খারাপের দিকে যায় তখন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানিয়েছেন লিঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, খৎনা করতে গিয়ে শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলানোর অভিযোগে হাজাম (খৎনাকারী) ফুরকান আলী খলিফাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ফুরকান আলী সদর উপজেলার কবুরহাট খলিফাপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজ খলিফার ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন-অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ