গাংনীর বামুন্দী অঞ্চলের ৩ রাস্তার কাজ বন্ধে সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কলকাটি নাড়ার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদার ও ভুক্তভুগীরা।
তদন্ত পূর্বক সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে তারা।
ঠিকাদার জাকামোল্লা ও ভুক্তভুগীরা জানান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের কারসাজির কারণে বামুন্দী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ার কারণে কার্যাদেশ বাতিল করতে উর্দ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর টেন্ডার বাতিল হয়। পরে হাইকোর্টে মামলা করা হয়।
মামলা ঠিকাদার জাকামোল্লার পক্ষে আসলেও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের চক্রান্তে মামলাটি আপিল করা হয়। এ কারনে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মেহেরপুর এলজিইডিতে ১৭/০২/২০৪ সালে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে মেহেরপুর এলজিইডি অফিসকে নিয়ন্ত্রন নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট।
সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অলিখিত ভাবে নিজেই ঠিকাদার বনে যান। এছাড়া নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া ও নি¤œ মানের সরাঞ্জাম দিয়ে কাজ করার সহায়তার আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
কোন ঠিকাদার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বললে কিংবা কমিশন দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে নানা ভাবে হয়রানী করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান স্বঘোষিত নির্বাহী প্রকৌশলী। তার কথামত কাজ না করলে সিন্ডিকেটের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ঠিকাদারদের লাঞ্চিত করা হয়।
তাই সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের সকল অবদার মেনেই ব্যবসা করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি’র এক কর্মকর্তা জানান, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ১৭/০২/২০৪ সালে মেহেরপুরে যোগদান করার পর থেকে অবৈধ ভাবে টাকা আয় করে মেহেরপুর শহরের ঈদগাঁ রোড়ে গড়ে তুলেছেন অট্ট্রালিকা। সেই অট্টলিকা ভাড়া দিলেও তিনি থাকেন এলজিইডির ডরমেটরিতে।
সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমানের সম্পদের হিসাব নিতে দুদকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্ত ভুগীরা। এসব বিষযে কথা বলতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে মঙ্গলবার দুপুরে বেশ কয়েকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য: গাংনী উপজেলার বামুন্দী-কাজিপুর, কাজিপুর নওদাপাড়া, আকুবপুর মোহাম্মদপুর হয়ে গোয়াল গ্রাম পর্যন্ত এই সড়কটি ঠিকাদারের মামলার কারনে দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। একযুগেরও বেশি সময় আগে সংস্কার হলেও বর্তমানে ঐ সড়ক গুলো দিয়ে চলাচল কষ্ট সাধ্য হয়েছে পড়েছে।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, ১ বছর পূর্বে বামুন্দী কাজিপুর সড়ক ১ কোটি ৫ লক্ষ, মোহাম্মদপুর-গোয়াল গ্রাম ১ কোটি ১৩ লক্ষ ও নওদাপাড়া-কাজিপুর সড় প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডার হয়। কিন্তু লটারি বিজয়ীদের কাজ না দেওয়ার কারনে মামলা করলে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি