ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে মুখোমুখি হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও মোহামেডান।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গাজী গ্রুপ। ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক শুভাগত হোমের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে মোহামেডান।
আর সেই লড়াকু পুঁজিকেও ৭ উইকেটে অতিক্রম করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এই জয়ে বেশিরভাগ অবদান দলের ওপেনার মেহেদী হাসানের।
৫৮ বলে ৯২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন। নিজের ইনিংসটি ১১ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন মেহেদী। স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৬২!
মেহেদী ছাড়া মোহামেডানের বোলারদের কাছে অবশ্য বাকি ব্যাটসম্যানরা সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। দুটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার মারে ১৭ বলে ২২ রান করে শুভাগত হোমের শিকারে পরিণত হন তিনি।
এ দুই ব্যাটসম্যানের পর দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন আরও দুজন। ইয়াসির আলী ও আকবর আলী দুজনেই করেছেন ১১ রান করে।
তবে এতে গাজীর জয় ঠেকাতে পারেনি মোহামেডান। কারণ ওপেনার মেহেদীকে থামাতে পারেননি মোহামেডানের বোলাররা।
শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৩৬ রানের। আবু জায়েদ, রুয়েল মিয়াদের বেদম পিটুনি দিয়ে তা উদ্ধার করে নেন মেহেদী।
১৮তম ওভারে আবু জায়েদকে ৩ বাউন্ডারি হাঁকান মেহেদী। এ ওভার থেকে ১৬ রান আসে।
১৯তম ওভারে রুয়েল মিয়াকে ছক্কা হাঁকান মেহেদী। এ ওভার থেকে আসে ১৫ রান। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৬ রানের।
ইয়াসিন আরাফাতের হাতে বল তুলে দেন শুভাগত। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে মেহেদীকে আউট করেন ইয়াসির।
সমাপ্তি ঘটে ৯২ রানের এক টর্নেডো ইনিংসের। মেহেদী সাজঘরে ফিরলেও এমন সমীকরণে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি গাজী গ্রুপের।
টেলএন্ডার আকবর আলী বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন।
অর্থাৎ মোহামেডানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ।
মোহামেডানের পক্ষে ৩ উইকেট শিকার করেছেন আসিফ হাসান। শুভাগত হোম ও ইয়াসিন আরাফাত দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান।
মোহামেডানের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন করেন ৪১ রান। অধিনায়ক শুভাগত হোম ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৯ রান।
৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান।
১৪ বলে ১০ রানে খেলতে থাকা আব্দুল মজিদকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৩২ বলে ৪১ রান করে তিনি।
তাকেও সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী।
এর পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। একসময় মনে হয়ে কম রানেই মোহামেডানকে বেঁধে ফেলতে পারবে গাজী গ্রুপ।
কিন্তু অধিনায়ক শুভাগত হোম মাঠে নেমে গাজীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেন।
ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল হাসান লিমনের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন শুভাগত। লিমন ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন। ৩১ বলে ৫৯ রান করে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান শুভাগত। তার স্ট্রাইক রেট ১৯০.৩২!
গাজী গ্রুপের পক্ষে মেহেদী হাসান, রকিবুল আতিক ও মহিউদ্দিন তারেক দুটি করে উইকেট নেন।