নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
এদিন সকাল ৬টার দিকে বন্দর কবরস্থান রোড দীঘিরপাড় এলাকার রফিকুল ইসলাম হাসান মিয়ার বাড়ির নিচ তলায় সেপটিক ট্যাংক
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই দুই সহোদর মাসনুন (১৩) ও জিসান (৮) নিহত হয়। আর আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা লাবনীসহ (৩০) আরও ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে লাবনীর অবস্থা গুরুতর ছিল।
আহত অন্যরা হলেন- সহিদ (৪৫), নাবিলা (৮), রুবেল শেখ (২৮), লেকমত শেখ (৫৫) ও তামান্না (১২)।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বন্দরের কবরস্থান রোড দীঘিরপাড় এলাকার ওই ভবনের নিচতলার সেপটিক ট্যাংকে ভোর ৬টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণে পাশের একটি ভবন ও একটি টিনশেড বাড়ির সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লাবনী মারা যান বলে জানান ওসি।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি বাড়িসহ পাশের আরও দুটি বাড়ি সিলগালা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। সূত্র-যুগান্তর