যৌতুকের দাবিতে নিজ স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী রাসেল ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাসেল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন সেন্টার ( সিপিসি-৩) মেহেরপুর ক্যাম্প ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০) ফরিদপুর ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদপুরের মুন্সিবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর মেহেরপুর সিপিস-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আশরাফউল্লাহ।
তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে মরদেহ ফেলে রাখার অভিযোগে রাসেল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুর এলাকার শীলা খাতুন (২০) ও বোয়াকুলী গ্রামের রাসেল ইসলামের প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্নভাবে স্বামীর পরিবার শীলাকে অত্যাচার করত।
গত ২১ অক্টোবর রাসেলের সঙ্গে শীলার কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাসেল তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে রাতে মরদেহ মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ওপর ফেলে পালিয়ে যান।
সকালে রেললাইনে রক্তাক্ত মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ তখন জানায়, নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় শীলার ভাই বাদী হয়ে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর র্যাব অভিযানে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি সাহায্যে রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ফরিদপুরের মুন্সিবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে।
র্যাব-১২ এর মেহেরপুর সিপিস-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আশরাফউল্লাহ জানান, র্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর ও র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুরের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।