গণপরিবহনসহ সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার তার বাসভবন থেকে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় এ হুশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের।
ভিডিওবার্তায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলে সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।
ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য সর্বাত্মক লকডাউন আর না বাড়ানোর ইঙ্গিত।
আগামী ২৮ এপ্রিলের পর লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ানোর জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শুক্রবার বিকালে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার চালু হবে গণপরিবহন, সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
‘আগামী ২৮ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। কিন্তু নো মাস্ক নো সার্ভিস- এটা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। মানুষ মাস্ক পড়বে, শারীরিক দূরত্ব মেইনটেইন করবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানলেই আমরা জীবন ও জীবিকা দুটোই চলাতে পারব। এই কয়দিনে সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন চালুর বিষয়টি সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আছে। চালু হলেও তো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেটা করা হবে। যেভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়েছে, সেভাবে খুলবে।’
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।