ডা. আবু সালেহ মো: নাজমুল হক মেহেরপুরের-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থ্য, শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানিয়েছেন।
ডা. আবু সালেহ মো: নাজমুল হক বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও আরও একটি নতুন হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি এখন বিবেচনাধীন আছে।
নাজমুল হক বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি থাকে গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ জন। যেখানে পদায়নকৃত চিকিৎসক পদের তুলনায় কম, অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে, ফলে অবকাঠামো থাকলেও এখানে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ পুর্ণ সক্ষমতায় সেবা প্রদান করতে পারছে না।
এমপি নাজমুল হক বলেন, বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং চিকিৎসক অন্যান্য সহযোগী পদ পুরন ও পর্যাপ্ত ঔষধ ও পরিক্ষা নিরিক্ষার সরকারি পর্যায়ে সহজ লভ্য করতে সকল পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে, কিছু ইতোমধ্যে পুরন হয়েছে বাকি যা আছে আগামী অর্থ বছর থেকে পুর্ণ সক্ষমতায় সেবা প্রদান করা যাবে।
এমপি আরও বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রসমুহ এবং কমুউনিটি ক্লিনিক সমুহে নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করণে পদক্ষেপ হিসাবে আমি নিজেও সেইসব প্রতিষ্ঠান এ পরিদর্শন করছি এবং মাঝে রোগী দেখে চিকিৎসা প্রদান করছি।
গাংনীর অন্যান্য বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষিত বেকারের হার কমাতে স্থানীয় ভাবে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা, গাংনীতে উৎপাদন মুখি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্থানীয় এবং অস্থানীয় বিনিয়োগ কারীদের উদ্বুদ্ধ করন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডা. এ এস এম নাজমুল হক গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নরুল হকের ছেলে। ডা. সাগরের মেজ বোন সেলিনা পারভীন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন।
ডা. এ এস এম নাজমুল হক শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২-৯৩ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক , ১৯৯৪-৯৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে ১৯৯৫-৯৭ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি ২৩ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে (চাকুরির মেয়াদ ছিল ২০৩২ সাল পর্যন্ত) সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিয়য়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।