জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দেশের কল্যাণে মানুষের কল্যাণে বিপদ আপদে যে কোনো দুর্যোগে মূহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মেহেরপুর জেলা শাখার ত্রি—বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুর শহীদ শামসুদ্দোজা নগর উদ্যানে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই ত্রি—বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, সদস্য আদনান সুমন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশান প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামীলীগের প্রাণ দলের নি:স্বার্থ কর্মী। আওয়ামীলীগে নি:স্বার্থ কর্মী আছে বলেই আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আজ সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রধান মন্ত্রী উজ্জল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। আমাদের জীবন মান বেড়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। স্কুল কলেজের ভবন নির্মাণ হয়েছে। আমাদের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব কিছুর উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃংখলার মধ্যে বাস করছে। তাই মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের সরকার, উন্নয়নের সরকার। আজ সারা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। এজন্য যারা ষড়যন্ত্রকারী, ৭১ সালে ষড়যন্ত্র করেছে যারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে ৭৫ হত্যা করেছে বারবার ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীরা ধংশ হবে ও ব্যার্থ হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধক গাজী মেজবাউল ইসলাম সাচ্চু বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পানি ঘোলা করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবেনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন নেতা কর্মী বেছে থাকতে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবোনা। স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজপথে থেকে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। বিএনপি জামায়াত কথায় কথায় বলে কাল সকালেই শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করে দেবে। শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করা এতো সস্তা নয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক জীবিত আছি।
বিএনপির উদ্যোশ্যে তিনি বলেন, সাহস থাকলে নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। বিদেশীরা এসে আপনাদের ক্ষমতায় বসাতে পারবেনা। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বিদেশীদের আমরা সুপরামর্শ শুনবো। তাদের নির্দেশ আমরা কখনোই মানবোনা।
তিনি আরও বলেন, প্রধান মন্ত্রী বলেছেন ২০২৩ সালের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হবে। সারা পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষক আসুক। বাংলাদেশের শান্তি, পবিত্র সংবিধান লংঘন করে কিয়ামত পর্যন্ত তত্বাবধায়ক সরকার চাইলেও তা আর ফিরে আসবেনা। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে কিয়ামত পর্যন্ত তত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারেনা। আগামী নির্বাচনেও এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে সরকার গঠণ করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন এবং আন্দোলনের সময় স্বেচ্ছাসেবক নেতা কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় বসানো হবে।
মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব বারিকুল ইসলাম লিজনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া শান্তির প্রতীক কবুতর ওড়ানো হয়।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম আহ্বান করা হলে সভাপতি পদে ৫জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থীর নাম জমা দেওয়া হয়।
একজন করে প্রার্থী হওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়। এ সময় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা একমত না হওয়াই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করা হয়।