ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ছোট ভাদড়া গ্রামে যৌতুক না দেওয়ায় সিমা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধুকে অমানষিক নির্যাতন করেছে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা সিমা খাতুনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিমার মা আঙ্গুরা খাতুন জানান, ১ বছর আগে ছোট ভাদড়া গ্রামের টিপু বিশ্বাসের ছেলে রনি বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পরিবার থেকে রনিকে সোনার গহনাসহ নানা উপকরণ দেওয়া হয়। বিয়ের পর কিছুদিন সব কিছু ঠিক থাকলেও ৬ মাস পর থেকে সিমার উপর নির্যাতন শুরু করে রনি ও তার পরিবার। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় প্রায়ই তাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সিমা খাতুনকে রনি, শ্বশুড় টিপু সুলতান ও শ্বাশুড়ি তাকে অমানষিক নির্যাতন করে। মারধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সিমার মা আঙ্গুরা খাতুন বলেন, রনি জোড়াদহ ভূমি অফিসে চাকুরি করে। বিয়ের পর থেকে ওই লোভী রনি আমার মেয়েকে নির্যাতন করছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত রনি বিশ্বাস বলেন, অনেক বিষয় আছে ভাই। সরাসরি দেখা করেন বলতে পারব। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।