ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদহ কলেজ মোড়ে চা বিক্রেতা যুবক শিমুল দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চা বিক্রি করেন। ১৮ বছর বয়সি শিমুল চা বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরতে পেরে নিজেকে সফল ও স্বাবম্বি মনে করছেন।
চা বিক্রি করে তিনি বাড়িতে পাঁকা ঘর দিয়েছেন, চাষের জমি বর্গা রেখেছেন, বাড়িতে গরু-ছাগল কিনে পালছেন। দিনে দিনে তার সংসারে স্বাচ্ছন্দ ফিরে এসেছে। শিমুল জোড়াদহ গ্রামে নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছে।
সরেজমিনে তার দোকানে গিয়ে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা চাপ্রেমীদের সরগরম লক্ষ্য করা যায়। তার দোকানের চা খেতে আসা বিভিন্ন খরিদ্দারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার দোকানে ভিন্ন স্বাদের দুধ চা ও মালাই চা পান করতে প্রতিদিন ঝিনাইদহ শহর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলা থেকে চা প্রেমিরা ছুটে আসেন।
চা বিক্রেতা শিমুল বলেন, তার দোকানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে শত শত চাপ্রেমীরা চা খেতে আসেন। প্রতিদিন ১হাজার থেকে ১২শ কাপ চা বিক্রি হয়, যা গড় হিসাবে প্রতিদিনে ১৫থেকে ২০ হাজার টাকার পারমান চা বিক্রি হয় বলে জানান। লেখাপড়া বেশি দূর না করলেও দিনরাত পরিশ্রম করে নিজেই পরিবর্তন করছেন নিজের ভাগ্য। উপজেলার জোড়াদহ কলেজ মোড় এলাকার রাস্তার পাশে শিমুলের চায়ের দোকান। ৭ বছর ধরে চা বিক্রি করছেন এই যুবক। এরও ৫বছর পূর্বে হাফিজুর নামে এক ব্যক্তি দোকানটি শুরু করে।
সকাল ৭টা থেকে সারাদিন চা প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে দোকানে। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ৮ট পর্যন্ত বাইরের এলাকা থেকে লোকজন চা খেতে ভিড় জমায়।
প্রতি কাপ দুধচা ২০ টাকা করে বিক্রি করি, এখন পর্যন্ত কোন খরিদ্দারের অভিযোগ পাননি বলে শিমুল জানান। তিনি আরও বলেন, চা বিক্রির পরিমান এখন অনেক বেশি, আয়ও ইনশাল্লাহ ভালোই হয়, এই আয় দিয়ে বাড়িতে একটি পাকা ঘর করেছি, জমি বর্গা রেখেছি, সবমিলিয়ে পরিশ্রম করে ভালোভাবে জীবন যাপনের চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, আমার চা তৈরীর পদ্ধতি হরিণাকুÐু উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন চালু হয়েছে। আমি ওইসব চা দোকানদারদের চা তৈরীর পদ্ধতি শিখিয়েছি। অনেক বেকার যুবক তার কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আসে। তিনি তাদের সঠিক পরামর্শ দেন। তার এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বেকার যুবকরা মনে করছেন কোন কাজই ছোট নয়, যেকোনো কাজ করে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে নিজের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।