ঝিনাদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেনের নানা অনিয়ম, অর্থ লোপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌরসভায় কাউন্সিলরগণ।
বুধবার (৩১ মে) বিকালে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্ধেসঢ়;্রর সামনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু আসাদ রনু। এসময় কাউন্সিলর হাসেম আলী, রেজাউল করিম, নাসির উদ্দীন, নিখিল কুমার, শারমীন আক্তারসহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর রনু জানান, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন জন্ম নিবন্ধনে ৫০টাকার পরিবর্তে ৫০০টাকা নিয়ে থাকেন সে জন্য মানুষ জন্ম নিবন্ধন করাতে পৌরমুখী হতে চান না ফলে জেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে আমাদের পৌরসভা। এর আগে এই নিয়ে স্থানীয় সর্বস্থরের মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে যার নিউজ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফিস অদায় ও পৌরসভার বিভিন্ন কাজে অনিয়মের জন্য পৌরবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ফুসে উঠেছে বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা আরও জানান, পৌরসভার বিভিন্ন অর্থ বছরে টি আর, কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে অর্থ বরাদ্দ হয় তার কোন কাজ না করে এবং কোন কাউন্সিলর না জানিয়ে নিজের মত করে বিল উত্তোলন করে নেন। এছাড়াও পৌরসভার গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিজস্ব গাড়ির মেরামত খরচ, নিজের প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড স্থাপনসহ অবৈধ বিল ভাউচার করে টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে। কোন কাউন্সিল প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকী ধামকী দিয়ে সভা থেকে বের করে দেন।
এছাড়া ভিজিএফ এর চাল বিতরণে তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোন তালিকা না নিয়ে তিনি নিজেই এই তালিকা তৈরী করেন এবং তালিকা ভূক্ত ব্যক্তিদের চাউল দেন। তাছাড়া পৌরসভার একটি গার্ভেজ ট্রাক অবৈধ ভাবে নিজের ইট ভাটায় ব্যবহার করে আসছেন।
হরিণাকুণ্ডু পৌর মার্কেটের একটি বাথরুম ভেঙ্গে ফেলে মার্কেট করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই মেয়রের বিরুদ্ধে। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে পাশ করলেও সার্বক্ষনিক বিএনপির নেতাদের সুযোগ সুবিধা বেশী দিয়ে থাকেন। এতে স্থানীয় ত্যাগি আওয়ামী লীগের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেও কাউন্সিলররা জানান। এই অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।