কালো হরিণ শিকার মামলায় স্বস্তিতে সালমান খান। শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্ট, সেশন কোর্টে (যোধপুর জেলা) হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দিল সালমান খানকে। ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সালমানকে সশীরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিরেন যোধপুর সেশন কোর্ট। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলাায় আপতত জামিনে মুক্ত সালমান, সেই মামলার শুনানির সময়ই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৭ এ নম্বর ধারা অসাংবিধানিক, সালমান খানের এই আবেদনে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিত্ মাহান্তি এবং বিচারপতি মনোজ কুমার গর্গ।
‘সালমান খান ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিলে সেশন কোর্ট চত্বরে ব্যাপক ভিড় জমে যায়, যার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। এর ফলে সমস্যা অবধারিত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যা আরও বিপজ্জনক। তাই ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীকে (সালমান খান) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জামিন ও সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার ও এক্সিকিউট করার অনুমতি দিয়েছে’, জানান সালমানের আইনজীবী হস্তিমল সারশ্বত।
২০১৮ সালের ৭ মে যোধপুরের জেলা ও সেশন কোর্টে (গ্রামীণ) কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় উপস্থিত হয়েছিলেন সালমান। ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল, যোদপুর জেলা আদালতের প্রধান জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট সলমনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন দুটি কালো হরিণ শিকারের জন্য। সিজিএম আদালতের তরফে ১০ হাজার টাকা জরিমানা নির্দেশ দেওয়া হয় সালমান খানকে। ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এরপর জেলা এবং সেশন আদালত সেই রায় খারিজ করে দেয় ঠিক দু দিন পর- ৭ এপ্রিল এবং জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় সালমান খানকে।
১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় শ্যুটিং চলাকালীন সালমানের ওপর কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠে। যোধপুরের নিকটবর্তী কঙ্গনি গ্রামে দুটি কালো হরিণ শিকারের অভিযোগ করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১-২ অক্টোবরের মধ্যে এই ঘটনা বলে অভিযোগ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস