ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সাইদ গ্রেপ্তার কে ১টি বিদেশী রিভলবার ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ৬ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-৬ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামস্থ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি শুক্রবার দিবাগত রাত দেড় টার সময় ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় র্যাব ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ১ জন অস্ত্রধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোঃ আবু সাইদ (৩৬) কে গ্রেপ্তার করে। সে একই উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের মোঃ ছানোয়ার হোসেন ছনুর পুত্র। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি বিদেশী রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ, গত ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার সাবেক সেনা সদস্য এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেন (৪৮)কে রাতে কিছু দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। নিহত শামীম হোসেন বিগত ২০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসরে আসেন এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায় নিহত ভিকটিম শামীম হোসেন রাত অনুমান ৮টার দিকে রাতের খাবার শেষ করে বাড়ী হতে বের হন এর কিছু সময় পরে হরিণাকুন্ডু থানার পার্বতীপুর গ্রামের জনৈক জব্বার মন্ডলের মেহগনি বাগানের উত্তর পাশে খালপাড়ে বাশেঁর সাকোর নিচে শামীম হোসেন এর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। কিছু দুর্বৃত্তরা ভিকটিম শামীম হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি বিভিন্ন প্রেস মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে শামীমের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবু সাইদ তার নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত সন্ত্রাসী আবু সাইদ হরিণাকুণ্ডুর সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
জব্দকৃত আলামত ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে।