মাঠের সোনায় ভরলে গোলা হৈম ডেকে কয়
এবার আমি যাই গো চলে আর তো থাকা নয়।
ডাকছে দেখো ভোর-কুয়াশার রুক্ষ মলিন শীত
থামাও এবার গাঁয়ের বধু ধান ভাঙানো গীত।
শরৎ শেষে এলাম যখন অঙ্গে নতুন রূপ
সে রূপ দেখে পাখপাখালি এক্কেবারেই চুপ।
সে রূপ দেখে খুললো আঁখি ফুল কচুরির দল
ঘাটের তলায় মুখ লুকালো পদ্মদীঘির জল।
ধানের শীষে পাকা সোনার রং ছড়ানো মাঠ
চাঁদনী রাতের আসন পাতা মুগ্ধ পুঁথি পাঠ।
কাটা ধানের মাঠ পেরিয়ে আবছা আরেক গাঁও
মন ডেকে কয় দেখবে তাকে? দৌড়ে তবে যাও।
নদীর ঘাটে গায়েন হাঁটে কণ্ঠে উদাস গান
সর্ষে শাকের গন্ধ মাখা গরম ভাতের ঘ্রাণ।
কে দিবে ভাই কোন ঋতুতে বর্ষা শরৎ আর
বসন্তকে কও না ডেকে সাধ্য আছে কার?
হৈম ডেকে কয় যে আবার, এবার আমি যাই
বাংলা ছাড়া রূপটি এমন কোথায় বলো পাই?
আসবো আবার বাসবো ভালো স্বপ্নসুখের গাঁও
বিদায় বেলায় তাইতো ভাসাই মন পবনের নাও।