হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে বদল আসার পরেই ‘সিগন্যাল’ নামক এক নতুন অ্যাপ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সদ্য বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তকমা পাওয়া ইলন মাস্কও এই অ্যাপের হয়ে তদবির করেন। এই মুহূর্তে ইউরোপ, আমেরিকা তো বটেই, ভারতেও সাড়া ফেলে দিয়েছে সিগন্যাল। ইতিমধ্যেই ভারতের লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে নতুন আপটি ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন।
কী এই অ্যাপের বিশেষত্ব, যা এতটা জনপ্রিয় হচ্ছে?
জানা গেছে, সিগন্যালে প্রেরিত বার্তা ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড।’ অর্থাৎ বার্তা প্রেরক এবং গ্রাহক ছাড়া আর কেউ সেই মেসেজের হদিস পাবে না। এক সময় হোয়াটসঅ্যাপেও একই ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ৮ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নতুন প্রাইভেসি পলিসির জেরে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত তথ্য জানতে পারবে ফেসবুক। এই বিষয়টি অনেকেরই না-পছন্দ। কারণ এতে গোপনীয়তা বিঘ্নিত তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, সিগন্যাল একই সময়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি যন্ত্রে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে যা হোয়াটসঅ্যাপে করা যায় না। রয়েছে ডার্ক মোড এবং লাইট মোডের বিকল্প। সেটিংসে গিয়ে অ্যাপিয়ারেন্স মেনুতে গিয়ে বেছে নিতে পারবেন পছন্দের বিকল্পটি। পাওয়া যাচ্ছে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোরে।
অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপের থেকে সিগন্যাল ভাল অ্যাপ। এখনই সেটা বলার সময় আসেনি। এখনও পর্যন্ত বার্তাপ্রেরণকারী অ্যাপ হিসেবে জনপ্রিয়তম হোয়াটসঅ্যাপই। বিশ্বের ১৪০ কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করে।