আলমডাঙ্গায় বিআরডিবি এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্তিদের কর্মশালায় বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে । গতকাল বৃহস্পতিবার বিআরডিবি অফিসে খোঁজ নিলে প্রশিক্ষণের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাৎ এর সত্যতা মিলে। এ ঘটনায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্তিদের মাঝে তিব্র ক্ষোভ বিরাজ করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পল্লি উন্নয়ন বোর্ড পল্লি জিবীকায়ন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) সুফল ভোগীদের আয়বর্ধন মূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়। গত মঙ্গলবার থেকে ৩ দিনের এ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। এ কর্মশালায় শাকসবজি চাষ প্রশিক্ষণে বিভিন্ন অঞ্চলের ৪০ জন নারী অংশ গ্রহণ করে।
এ কর্মশালায় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক সুফল ভোগী প্রশিক্ষণার্থীকে প্রত্যেক দিন সম্মানি ভাতা, খাবার, যাতায়াত, খাতা-কলম, সনদ বাবদ ১ হাজার ৪০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে প্রত্যেক দিন প্রশিক্ষণার্থীকে সম্মানি ভাতা বাবদ ৫শত টাকা, খাবার ৩শত ৪০ টাকা, যাতায়াত ২শত টাকা, খাতা-কলম বাবদ ৫০ টাকা ও সনদ বাবদ ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে পল্লি উন্নয়ন বোর্ড পল্লি জিবীকায়ন প্রকল্প। এতে বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০% অর্থ আত্নসাৎ করেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থের শুধু সম্মানি ভাতা ৫শত টাকা, ৩শত ৪০ টাকার খাবার ১২০, যাতায়াত খরচ বাবদ ২শত টাকা, ৩০ টাকার খাতা-কলম ৫০, ২০ টাকার সনদ ৫০ টাকা করে দাম ধরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা। এতে প্রতি প্রশিক্ষণার্থী বাবদ প্রতিদিন ২২০ টাকা করে মোট ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের ৮ হাজার ৮ টাকা। ৩ দিন মোট ২৬ হাজার ৪শত টাকা আত্নসাৎ করে ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।
পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, প্রতি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন ১হাজার ৪০ টাকা বরাদ্দ।তাদের ৩ দিনে মোট ২ হাজার ১ শত টাকা প্রদান করা হয়। তিনি আরো বলেন, খাবার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি ২৪০ টাকা। তার মধ্যে যতটা সম্ভব ভাল খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সরকারি বাজেট তালিকার সাথে ভারপ্রাপ্ত অফিসার আব্দুল মান্নানের কথায় অসংগতি লক্ষ করা গেছে। ৩৪০ টাকা বরাদ্দ উল্লেখ থাকলেও তিনি সেটাকে ২৪০ টাকায় নামিয়ে নিয়ে আসেন।