করোনা মহামারির মধ্যেই হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল দিয়ে ইউরোপের ফুটবল অঙ্গনে ফিরছে দর্শক। বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় ২০ হাজার দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে আয়োজক কমিটি উয়েফা।
তবে সুপার কাপে দর্শক প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত হাঙ্গেরিয়ানরা। দেশটিতে প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শক প্রবেশের সিদ্ধান্ত অনেক বেশি ঝুঁকির হবে বলে মনে করছেন দেশটির মেডিকেল চেম্বারের পরামর্শক আন্দ্রাস সিসলেক।
বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ ও সেভিয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ এই দুই আসরের শিরোপা জয়ীকে নিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় উয়েফা সুপার কাপ। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে হারিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ট্রফি জিতে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। আর ইউরোপা লিগে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে নেয় স্প্যানিশ সেভিয়া।
এদিকে, হাঙ্গেরিতে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। দেশটিতে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৬০০-এর বেশি মানুষ। তাই এই মুহূর্তে স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক প্রবেশ করতে দিলে হাঙ্গেরিতে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।
হাঙ্গেরির মেডিকেল চেম্বারের পরামর্শক আন্দ্রাস সিসলেক বলেন, করোনার কঠিন সময়ে সুপার কাপে স্টেডিয়ামে ২০ হাজার দর্শক অনুমতি দেওয়াটা ঠিক হয়নি। হাঙ্গেরির জন্য বিষয়টি বড় ধরনের ঝুঁকির। দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন, এর চেয়ে খারাপ সময় আর হতে পারে না। কারণ স্টেডিয়ামে দর্শক আলাদা করা সম্ভব নয়। গণপরিবহন, স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ, আসন সব জায়গায় সংক্রমণ হওয়ার আশাঙ্কা থাকছে।
বিরোধীদলীয় এমপি ব্রবলি বলেন, করোনা মহামারিতে উয়েফার এমন পরীক্ষা হতাশার। নাগরিকরা করোনা নিয়ে প্রতিনিয়ত শঙ্কিত। স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শক প্রবেশের অনুমতির বিরোধিতা করছি। আশা করছি উয়েফা বিষয়টি গুরুত্ব দেবে।
তবে করোনার এমন অবস্থায় নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে উয়েফা সরে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন