চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বিজিবি-বিএস এফ পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে ৫ বছর কারাভোগ শেষে ভারতীয় নাগরিক মানসিক ভারসাম্যহীন অভিষেক কুমারকে (৩৫) সীমান্তরক্ষী বাহীনি বিএস এফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
আটককৃত অভিষেক কুমার ভারতের ঝাড়কান্ড প্রদেশের জারিদি জেলার গান্ধীনগর থানার জারিদি বাজার পাড়ার ঘনশ্যামের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দু দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে এ হস্তান্তর করা হয়। অভিষেক কুমারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা পুস্পা দেবী তাকে গ্রহন করতে সীমান্তের শৃন্য রেখায় আসেন।
পুলিশ জানায় ২০১৯ সালের ২১ জুলাই রাজশাহী বিভাগের বোয়ালিয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলো। এ সময় বিজিবি অভিষেক কুমারকে আটক করে। পরে তাকে বিজিবি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে অভিষেক কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের করেন মামলা যার নং ১০। এরপর ২২ মার্চ ২০২২ সালের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বহিরাগমন-১ থেকে ভারত প্রত্যাবাসনের চিঠি প্রেরণ করে।
কিন্তু অভিষেকের পারিবারের সন্ধান না পাওয়ায় দায়িত্বশীল কারো কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্রসাংবাদিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ মো: শামসুল হুদার প্রত্যাবাসন বিষয়ক বেশ কিছু সাফল্যের কথা জানতে পেরে অভিষেককে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানান। দীর্ঘ ৫ বছর কারাভোগ শেষে আপন ঠিকানায় ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক অভিষেক কুমার ।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মন মোহন, দর্শনা আইসিপি কমান্ডার এনামৃল হক, হাবিলদার সাকার উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের ইনচার্জ জিললু রহমান, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই খান আব্দুর রহমান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এস আই আতিক হাসান, এ এস আই মোমিন এ এস আই সায়মুন। ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশা, এস আই পি মুর্খার্জি, এসআই মজুমদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস কর্মকর্তা রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এএসআই তন্ময় দাস, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।